তিন বছর ধরে চলতে থাকা ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে সামনের সপ্তাহে সৌদি আরবে মুখোমুখি বসতে চলেছে আমেরিকা ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দল। যদিও ডাকা হয়নি ইউক্রেনকেই। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে তাঁরা রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতেও চান না।
ইউক্রেনের বন্ধু-তালিকায় আর নেই আমেরিকা। এর আগে আমেরিকাকে দেশের মূল্যবান ধাতুর খনি ব্যবহার করতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল কিভ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বেঁকে বসেছেন জ়েলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘ওই চুক্তির অর্থ নেই। ওরা আমাদের জন্য কিছু করছে না। বিনিয়োগ তখনই সম্ভব যদি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকে।’’ বরং আমেরিকাকে বাদ দিয়ে ‘ইউরোপীয় বাহিনী’ তৈরির ডাক দিয়েছেন জ়েলেনস্কি। ‘মিউনিখ সিকিয়োরিটি কনফারেন্স’-এ তিনি বলেছেন, ‘‘ এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের উচিত নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গঠন করা।’’
জ়েলেনস্কি আরও দাবি করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে এত প্রাণহানির পরেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেড় লক্ষ সেনা নিয়োগ করেছেন বাহিনীতে, যা ইউরোপের বহু দেশের সেনা বহরের থেকে বেশি। জ়েলেনস্কি জানান, তাঁদের গোয়েন্দা সূত্রে খবর আরও বড় হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। নেটো অবশ্য জানিয়েছে, তাঁদের কাছে
কোনও খবর নেই। সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)