১৭ বছরের ‘স্বেচ্ছানির্বাসন’ পর্বের শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা ফিরে প্রথম বক্তৃতাতেই সদ্যনিহত জুলাই আন্দোলনের ‘মুখ’ শফিক ওসমান হাদির প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তথা বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শনিবার গেলেন হাদির কবরে শ্রদ্ধা জানাতে। অদূরে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে গিয়েও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে বাংলাদেশে। বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে। তাঁর মা তথা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা ফেনী–০১, বগুড়া–০৭ এবং দিনাজপুর–০৩ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। তারেক লন্ডনে থাকাকালীনই গত ৩ নভেম্বর বিএনপি তাঁর নাম ঘোষণা করেছিল। কিন্তু গত ১৭ বছর ধরে ব্রিটেন প্রবাসী খালেদা-পুত্রের নাম এখনও পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম ওঠেনি! তাই নির্বাচনী বিধি মেনে জাতীয় সংসদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধনের আবেদন জানাতে হচ্ছে তাঁকে। ভোটার হিসাবে নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রাপ্তির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে তারেকের আগমনকে ঘিরে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ঢাকার পূর্বাচলে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তারেক বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ‘‘এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যা স্বপ্ন দেখেছি।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তারেক তাঁর স্বপ্নের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন আমেরিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের প্রয়াত নেতা মার্টিন লুথার কিং এবং সদ্যনিহত জুলাই আন্দোলনের ‘মুখ’ হাদির। ‘‘শহিদ ওসমান হাদির প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। হাদি চেয়েছিলেন এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি চেয়েছিলেন, এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক। এই দেশের মানুষ নিজেদের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ওসমান হাদি-সহ এই আন্দোলনে যাঁরা শহিদ হয়েছেন তাঁদের রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, তবে আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেখানে আমরা সকলে মিলে কাজ করব। যেখানে আমরা সকলে মিলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’’