রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিং। ছবি: রয়টার্স।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে রাশিয়ায় আসার আমন্ত্রণ জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা, সামরিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে কথা হয়েছে বলে রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রের খবর, জিনপিংকে ৮ মিনিটের একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছেন পুতিন। রাশিয়ার জাতীয় টেলিভিশনে সেটি সম্প্রচারিতও হয়েছে। ওই বিবৃতিতে চিনের প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে পুতিন বলেছেন, “প্রিয় বন্ধু, আমি আশা করছি বসন্তকালেই আপনি রাশিয়ায় রাজধানী মস্কোয় আসবেন।” চিন এবং রাশিয়া, দুই দেশের তরফেই জানানো হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক ‘গঠনমূলক’ হয়েছে। যদিও বেজিংয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত জিনপিংয়ের মস্কো সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া এবং চিনের মধ্যে যে মজবুত বন্ধন রয়েছে, গোটা বিশ্বকে সেই বার্তা দেওয়া গিয়েছে। জিনপিং পাল্টা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত বোঝাপড়া বাড়াতে চিন প্রস্তুত। বিশ্বে কঠিন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সেটা খুব জরুরি বলেও জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে যে ক’টি দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও অবস্থান নেয়নি, চিন তাদের মধ্যে অন্যতম। যুদ্ধ থামিয়ে শান্তির কথা বললেও কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া কিংবা পুতিনের সমালোচনা করেনি চিন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের একাধিপত্যকে খর্ব করতে আমেরিকা যখন নয়া অক্ষ তৈরির চেষ্টা করছে, তখন রাশিয়া এবং চিনের মতো দুই শক্তিধর দেশের প্রকাশ্যে কাছাকাছি আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy