আর্থিক অপরাধ নিয়ে জি-২০-এর মঞ্চে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘আর্থিক অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করলে আর্থিক সুশাসন কায়েম করা সম্ভব নয়।’’
বিদেশে ভারতীয়দের কালো টাকা নিয়ে তদন্তের সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট দেশগুলির ব্যাঙ্কিং গোপনীয়তা আইন বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আবার ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ না করার মামলায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্যের ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়া নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার। এই পরিস্থিতিতে জি-২০-এর মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। মোদীর বক্তব্য, ‘‘আন্তর্জাতিক স্তরে বেআইনি ভাবে লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত প্রত্যর্পণ করা প্রয়োজন।’’ তাঁর মতে, জটিল আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন ও ব্যাঙ্কিং নিয়ে অত্যধিক গোপনীয়তা অনেক সময়েই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বরং আন্তর্জাতিক আর্থিক সুরক্ষার আবরণকে আরও মজবুত করা উচিত।
জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্তরে রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আজ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন মোদী। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের সঙ্গে স্করপেন ডুবোজাহাজ সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট তাইপ এর্দোগানের সঙ্গে কথা হয়েছে পারমাণবিক সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে। সোলে এনএসজি-র বৈঠকে চিনের সঙ্গে তুরস্কও ভারতের সদস্যপদের বিরোধিতা় করেছিল বলে কূটনৈতিক সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy