Advertisement
E-Paper

অস্থির সময়ে নেপালের হাল ধরবেন কে? দেশের অন্তর্বর্তী প্রধান হিসাবে ছাত্র-যুবরা চাইছেন কাঠমান্ডুর মেয়রকে

ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন নেপালের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এই পরিস্থিতিতে অস্থির নেপালের দায়িত্ব কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেনের হাতে তুলে দিতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৩
কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেন।

কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেন। ছবি: সংগৃহীত।

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেন? তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে করা একাধিক পোস্টে এই জল্পনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন নেপালের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেনার কপ্টারে তিনি দেশ ছেড়েছেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে অস্থির নেপালের দায়িত্ব কাঠমান্ডুর মেয়র, বছর পঁয়ত্রিশের বলেন্দ্রর হাতে তুলে দিতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। নেপালের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও এমনটা জানিয়েছে।

কে এই বলেন্দ্র শাহ

বলেন্দ্র কাঠমান্ডুর মেয়র। ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ৬১ হাজার ভোটে জয়ী হন তিনি। প্রতিষ্ঠিত দলগুলির প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিকদের হারিয়ে দিয়ে সে দেশের অনেককেই চমকে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে কাঠমান্ডুতে জন্ম বলেনের। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে আসেন। নেপালে র‌্যাপার এবং সুরকার হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। নিজের সুরারোপ করা গানেও দুর্নীতি এবং আর্থিক বৈষম্য নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন বলেন্দ্র। র‌্যাপার হিসাবে পাওয়া জনপ্রিয়তাকে অস্ত্র করেই ভোটে দাঁড়ান তিনি। জয়লাভও করেন।

নেপালের ছাত্র-যুব আন্দোলনে শামিল না-হলেও দূর থেকেই তাকে সমর্থন করেছিলেন বলেন্দ্র। সরাসরি অংশগ্রহণ না-করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, এটা ‘জেন জ়ি’দের আন্দোলন। সেই হিসাবে আঠাশোর্ধ্ব কেউ আন্দোলনে যোগ দিক, তা চাননি বলেন্দ্র। তবে ছাত্র-যুবদের বক্তব্য সরকারের শোনা উচিত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আমি ওঁদের (আন্দোলনকারী) ইচ্ছা, লক্ষ্য এবং ভাবনার কথা জানতে চাই।” এই আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার না-করার জন্য তিনি আর্জি জানান নেপালের রাজনৈতিক দলগুলিকে। সশরীরে হাজির না-থাকলেও আন্দোলনকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান বলেন্দ্র।

গত দু’দিনে সমাজমাধ্যমের একাধিক পোস্টে বলেন্দ্রকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। এক জন বলেন্দ্রকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি তুলে সমাজমাধ্যমে লেখেন, “বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের মধ্যে পার্থক্য এই যে, আমাদের কাছে এক জন যোগ্য প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন, যিনি নিজের স্বার্থ না-দেখে দেশের জন্য ভাল কাজ করবেন।” আর এক জন লিখেছেন, “প্রিয় বলেন, দেশকে নেতৃত্ব দাও। নেপাল তোমার সঙ্গে রয়েছে। সামনে এগিয়ে যাও।”

Nepal Gen Z Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy