‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানকে এক মাইলফলক মুহূর্ত বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যে ভাবে মোদী ‘অব কি বার মোদী সরকার’ বলে স্লোগান তুলেছেন, যে ভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভারতীয়-বংশোদ্ভূতদের সামনে নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছেন তাতে সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা শিবির থেকে।
গত কাল রাতে হিউস্টন থেকে প্রধানমন্ত্রী পৌছেছেন নিউ ইয়র্কে। আজ সকাল থেকে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। কিন্তু গত কালের অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনেও ভারতকে চাঙ্গা করে তুলেছে বলে দাবি করছেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা।
মোদী আজ টুইট করে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, হিউস্টনে আপনার উপস্থিতি ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে একটি মাইলফলক মুহূর্ত। ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে মৈত্রী বজায় রাখার পথে চলছেন আপনি। গত কালের অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতিই প্রমাণ করে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা রয়েছে।”
তবে শুধু ধন্যবাদজ্ঞাপক এই টুইটটিই নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী গত কালের অনুষ্ঠানের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। সেই ছবিটিতে দুই দেশের নেতাকে ৫০ হাজার মানুষের সামনে হাতে হাত ধরে অভিবাদন জানাতে দেখা গিয়েছে।
কিন্তু যে ভাবে মোদী কার্যত ট্রাম্পের প্রচারের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন তাতে তিনি ভারতীয় বিদেশনীতির রীতি ভেঙেছেন বলে দাবি বিরোধীদের। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার প্রশ্ন, ‘‘আপনি তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমেরিকা গিয়েছেন জানতাম, সে দেশের তারকা প্রচারক হয়েও গিয়েছেন না কি? এ তো আমাদের দেশের বিদেশনীতির বিচ্যুতি। আমরা অন্য কোনও দেশের ভোট নিয়ে নাক গলাই না।’’
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও বলেন, ‘‘কখনও শুনিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশে গিয়ে এ ভাবে ভোট-প্রচার করছেন।’’
মোদী সরকারের মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির অবশ্য সব শুনে কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেস তা হলে কবুল করল যে মোদী মার্কিন নির্বাচনেও তারকা প্রচারক হতে পারেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy