রাশিয়ার দুই তেলশোধক সংস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হলে রাশিয়াকে আরও চাপ দেওয়ার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন জ়েলেনস্কি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ হয়েছেন তিনি।
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জ়েলেনস্কির। সেখানেই তিনি রাশিয়ার তেল সংস্থার উপরে চাপানো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বলেন, ‘‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি আরও জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়া সম্ভব। কিন্তু তার জন্য রাশিয়াকে আরও চাপ দেওয়া প্রয়োজন। মস্কোকে ইউক্রেনের জমি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দিয়েছেন জ়েলেনস্কি। নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তিনি লিখেছেন, ‘এই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সিদ্ধান্ত দেখাল যে আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবেই। রাশিয়ার তেল সংস্থার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে এবং সন্ত্রাস ছড়ালে তার দাম দিতে হবে। এটাই উচিত ছিল।’ জ়েলেনস্কি এ-ও জানিয়েছেন, যে এ ভাবে আসলে রাশিয়াকে চাপ দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোরে রাশিয়ার দুই সংস্থা ‘রসনেফ্ট’ এবং ‘লুকঅয়েল’-এর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্পের রাজস্ব দফতরের অফিস অফ ফরেন অ্যাসেট্স কন্ট্রোল (ওএফএসি)। মার্কিন রাজস্ব দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তেল বিক্রির টাকা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তাই রাশিয়ার দু’টি বৃহত্তম তেল পরিশোধক সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কিন রাজস্বসচিব স্কট বেসেন্টও বলেছেন, ‘‘ইউক্রেনের সঙ্গে অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করতে অস্বীকার করেছেন পুতিন। সে কারণেই দু’টি রুশ তৈলসংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হল, যারা ক্রেমলিনকে যুদ্ধের মূলধন জোগায়। এ বার যুদ্ধ বন্ধ করার সময় এসেছে।’’
ট্রাম্প দাবি করেছেন, রুশ তেলশোধক সংস্থাগুলির উপর নয়া নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে অগ্রগতির পথ তৈরি করতে পারে। এই পদক্ষেপকে ‘অসাধারণ’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। এও জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তবে সব নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহার করে নেবে আমেরিকা।