নিউ ইয়র্কে ২০০১ সালের জঙ্গি হামলার পরে তাঁর আত্মীয়া হিজাব পরে শহরের সাবওয়ে দিয়ে যেতে নিরাপদ বোধ করতেন না বলে দাবি করেছেন নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী জ়োহরান মামদানি। তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের কটাক্ষ, “জ়োহরানের দাবি, ৯/১১ হামলার পরে আসল শিকার ছিলেন তাঁর আত্মীয়া। অভিযোগ, তাঁর দিকে কেউ কুনজরে তাকিয়েছিল।”
মামদানির সমালোচনা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা তাঁর ধর্মীয় পরিচয় সামনে আনছেন বলে দাবি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মেয়র পদপ্রার্থীর। যদিও সেই সব সমালোচনায় বিচলিত নন বলেই জানিয়েছেন তিনি। উল্টে বিরোধীদের এই সব সমালোচনাকে বর্ণবিদ্বেষী, ভিত্তিহীন এবং ইসলামভীতি বলে উল্লেখ করেছেন মামদানি।
গত শুক্রবার ব্রঙ্কস এলাকার একটি মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে মামদানি ‘মুসলিমভীতি’ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা করেন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিয়োতে মামদানিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এই ইসলামভীতি শুধু আমাকে নয়, নিউ ইয়র্কে বসবাসরত প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিমের আবেগে আঘাত করছে।’
সম্প্রতি জ়োহরান মামদানি বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে এক জন মুসলিমের জীবন মানে অসম্মান বা অমর্যাদা মেনে নেওয়া। তবে এ অসম্মান কেবল আমাদের একার নয়। নিউ ইয়র্কের বহু মানুষ এর শিকার।’
নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থী জ়োহরান মামদানি সম্পর্কে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের করা মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিক মেহেদী হাসনের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়েছে ডানপন্থীকর্মী তথা সাংবাদিক লরা লুমারের। ৯/১১-র পরে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়ে মামদানির বর্ণনাকে উপহাস করার জন্য হাসন ভান্সের সমালোচনা করলে, এই বিরোধ শুরু হয়।
হাসন এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘ধরুন, আপনি এক জন বাদামি বর্ণের মহিলাকে বিয়ে করেছেন এবং আপনার মিশ্র বর্ণের একটি সন্তান রয়েছে। আর সর্বসমক্ষে আপনি আর এক বাদামি বর্ণের ব্যক্তিকে তাঁর বর্ণবিদ্বেষের অভিজ্ঞতা নিয়ে অপমান করছেন।’ এই পোস্টের উত্তরে লুমার লেখেন, ‘জে ডি ভান্সের স্ত্রী মুসলিম নন। তা হলে, ভান্স কখনওই ভাইস প্রেসিডেন্ট হতেন না।’ ওই মহিলা সাংবাদিক বলেন, “মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন) কখনওই হোয়াইট হাউসে এক জন মুসলিমকে সমর্থন করবে না। আপনি কি মনে করেন হিন্দু এবং মুসলিমরা একই?” তিনি আরও লিখেছেন, ‘সমস্যাটা বাদামি বর্ণের মানুষ বলে নয়, সমস্যাটা ইসলাম।’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)