প্রেসিডেন্ট পদচ্যুত হওয়ার পরে এই প্রথম ইউক্রেন-সঙ্কট নিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসল যুযুধান দুই পক্ষ। প্যারিসের লেবাননে রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের বৈঠকের ফাঁকে কয়েক মিনিটের জন্য রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরির বৈঠক হয়।
ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর চেষ্টায় আলোচনা হলেও সে দেশের পরিস্থিতি এখনও অন্য কথা বলছে। পুতিন নিজের দেশের সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এখনও রুশ সেনার দখলে রয়েছে বলেই সংবাদসংস্থার দাবি। তারা জানিয়েছে, গত রাতেই ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ঘাঁটির দখল নিয়েছে রুশ সেনা। ফলে পুতিন পিছু হঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন, এখনই এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আরেসনি ইয়াতসেনিয়াক অবশ্য বলেছেন, ক্রিমিয়া ইউক্রেনেরই অংশ থাকবে। তবে রাশিয়ার দাবি, ক্রিমিয়ার বাসিন্দারাই আত্মরক্ষার্থে সেনা মজুত রাখছে। তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ রুশ সরকার দেবে না।
সের্গেই লাভরভ বলেছেন, “ক্রিমিয়ায় আত্মরক্ষার জন্য যে সেনা মজুত রয়েছে, তাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ আমরা দেব না। ওরা আমাদের নির্দেশ মানবেও না।” প্যারিসে বৈঠকে জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন লাভরভ।
ন্যাটোর সঙ্গেও ব্রাসেলসে আর এক দফা আলোচনা হবে রাশিয়ার। ফ্রান্স জানিয়েছে, রুশ সেনা তৎপরতা না কমলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা হবে কি না সে ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ব্রাসেলসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মতে, ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার আগ্রহ অনর্থক নয়। কিন্তু তা বলে পুতিনের সে দেশে সেনা পাঠানোর অধিকার নেই। ওবামার মন্তব্য, “পুতিনের আইনজীবীরা হয়তো ওঁকে অন্য কিছু বোঝাচ্ছেন। কিন্তু তাতে বাকিরা ভুল বুঝছে, এমন ভাবার কারণ নেই।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমী দেশগুলি অবরোধ নিয়ে ভাবনাচিন্তা যেমন করছে, চুপ বসে নেই রাশিয়াও। দেশ অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়লে কী হবে তা ঠিক করে ফেলেছেন রুশ আইনপ্রণেতারা। তাঁরা এমন একটি আইন তৈরি করছেন যার সাহায্যে সে দেশের সব মার্কিন এবং ইউরোপীয় সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার থাকবে রুশ সরকারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy