কখনও দু’হাতে তুলে নিচ্ছেন ডাম্বেল। কখনও তাই নিয়ে হাত উপর-নীচে করছেন। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে পোল্যান্ডের ওয়ারসয়ে এক পাঁচতারা হোটেলের জিমে কসরতের এমন নমুনাই তুলে ধরেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
জিমে কাটানো এমন নানা মুহূর্ত ধরা পড়েছে এক মিনিট পঁচিশ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে। আর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। কিন্তু তা নিয়ে সমস্যা কোথায়? প্রেসিডেন্ট কি জিমে যান না? স্বাস্থ্য সচেতন নন?
অবশ্যই যান এবং তাঁর যা যা করার করতেই পারেন। তা বলে সেটা কি সাধারণের গোচরে আসার কথা? বিতর্ক শুরু হয়েছে তাই নিয়েই।
প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকেন, তা ভেঙে কেউ কী ভাবে ওবামাকে জিমে থাকাকালীন ক্যামেরাবন্দি করল? সেই ছবি প্রথমে পোলিশ একটি ট্যাবলয়েডে ছাপা হয়। যদিও স্থানীয় ফোটোগ্রাফার মারেক কিয়াতকোস্কি বলছেন, “আমি ওই জিম চিনি। ওখানে বাইরে থেকে ছবি তোলা সম্ভব নয়। জিমের ভিতরেই কেউ ছবি তুলেছেন। বা ওখানে লুকোনো ক্যামেরা ছিল।” ওবামা এখন ওয়ারসয়ের ম্যারিয়ট হোটেলে রয়েছেন। জিমে তাঁকে দেখা যাচ্ছে গাঢ় নীল ট্র্যাক স্যুটে। ভিতরে পড়েছেন সাদা টি শার্ট। কানে হেডফোন লাগিয়ে একের পর এক ওজন তোলার কসরত করে চলেছেন।
৫২ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্ট আপাতত ইউরোপ সফরে গিয়েছেন। পোল্যান্ডের পরে বেলজিয়াম এবং ফ্রান্স যাওয়ার কথা তাঁর। জেট ল্যাগে এতটুকু না দমে গত কাল পোল্যান্ড পৌঁছে রোজকার শরীরচর্চার রুটিনে ছেদ পড়তে দেননি। পোলিশ ট্যাবলয়েড আবার ক’জন প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “আধ ঘণ্টা শরীরচর্চার মাঝে এক বারও জিরোতে দেখা যায়নি ওবামাকে। উল্টে একটা কাগজে লিখে রাখা তালিকার বিভিন্ন এক্সারসাইজের প্রত্যেকটি নিবিষ্ট মনে করে যান তিনি।”
ওবামার নিজস্ব নিরাপত্তা পরিষেবার দায়িত্বে থাকা অফিসারদের মুখপাত্র এড ডনভনের দাবি, “নিরাপত্তা ভঙ্গের মতো ঘটনা ঘটেনি। কারণ ওবামা যখন জিমে ঢোকেন, তখন হোটেলের বাকি অতিথিদের কাউকেই বেরিয়ে যেতে বলা হয়নি। তা ছাড়া তাঁদের ছবি তুলতেও নিষেধ করা হয়নি।” ডনভনের মতে, প্রেসিডেন্ট কোনও রেস্তোরাঁয় গেলে সেখানে হাজির ভক্তদের তাঁর ছবি তুলতে দেওয়া হয়।
ম্যারিয়ট হোটেলের ঘটনাটিও সে রকম। এ নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই।