Advertisement
E-Paper

এক কোটি ডলারের স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ মিলল ক্যালিফোর্নিয়ায়

সোনার দেশে ফের সোনার খোঁজ। হাঁটতে বেরিয়ে এক দম্পতির পায়ে ঠেকল সোনার খনি!

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২০:৩৩
ক্যানের মধ্যে স্বর্ণমুদ্রা। ছবি: রয়টার্স।

ক্যানের মধ্যে স্বর্ণমুদ্রা। ছবি: রয়টার্স।

সোনার দেশে ফের সোনার খোঁজ। হাঁটতে বেরিয়ে এক দম্পতির পায়ে ঠেকল সোনার খনি!

প্রায় খনিরই সমান! আজকের মূল্যে অন্তত এক কোটি ডলার। ক্যালিফোর্নিয়ার গ্রামাঞ্চলে নিজেদের বাড়িতেই ১৯ শতকের ১৪২৭টি স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ পেয়েছেন ওই দম্পতি। গত বছর ফেব্রুয়ারির ঘটনা। যা প্রকাশ্যে এসেছে আজ। আর এই ঘটনা ফের উস্কে দিয়েছে ১৯ শতকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্বর্ণ-উন্মাদনার স্মৃতি।

নিরাপত্তার স্বার্থে ওই মাঝ-বয়সি দম্পতির নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি। এ যুগে আবার সোনার টানে খেপে গিয়ে গোটা পৃথিবী থেকে মানুষ যদি তাঁদের বাড়ি গিয়ে হামলে পড়েন! ক্যালিফোর্নিয়ায় তেমনই তো হয়েছিল ১৮৪৮ থেকে ১৮৬৪-এর মাঝামাঝি সময়ে। এখানকার কলোমা এলাকা সাক্ষী সেই স্বর্ণ-স্মৃতির। আমেরিকা আর তার বাইরে থেকে অন্তত তিন লক্ষ মানুষ ছুটে এসেছিলেন সোনার ভাগ নিতে। গোটা ক্যালিফোর্নিয়ার ভোল পাল্টে গিয়েছিল এই স্বর্ণ-উন্মাদনার পরে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারির ঘটনাটি অন্য রকম। নিজেদের বাড়ির চত্বরে হাঁটছিলেন ওই দম্পতি। যে জায়গায় রোজই হেঁটে বেড়ান। সে দিন স্ত্রীর পায়ে হঠাৎ কিছু একটা ঠেকে। দেখেন মাটি থেকে উঁকি মারছে একটি মরচে ধরা ক্যানের মতো কিছু। মাটি ক্ষয়ে গিয়ে ক্যানের অংশ বেরিয়ে এসেছে। কী রয়েছে তাতে?

ক্যান খুলতেই দম্পতির চোখ কপালে। এ কোন যখের ধন? ভিতরে যে ঠাসা সোনার মুদ্রা। আশপাশে এর পর আরও খোঁড়াখুড়ির পরে মোট আটটি ওই রকম ক্যান পান তাঁরা। সব মিলিয়ে ১৪২৭টি মুদ্রা। কোথা থেকে এল এই সম্পদ? ভেবে দিশাহারা দম্পতি যোগাযোগ করেন বিশেষজ্ঞর সঙ্গে। সান্তা আনার মুদ্রা-বিশেষজ্ঞ ডেভিড হল জানাচ্ছেন, ১৮৪৭ থেকে ১৮৯৪ সালের ওই মুদ্রাগুলি ব্যবহার করা হয়নি আগে। টাঁকশাল থেকে তৈরির পরেই কোনও ভাবে দম্পতির বাড়ির চত্বরে রেখে দিয়েছিলেন কেউ। দুষ্প্রাপ্য মুদ্রা নিয়ে গবেষণা করেন ডন কাগিন। তিনি বলেছেন, মুদ্রা তৈরির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই ওখানে ক্যানভর্তি মুদ্রা রেখেছিলেন। কিন্তু কেন?

কাগজের টাকা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত বেআইনি ছিল ক্যালিফোর্নিয়ায়। এই দম্পতির বাড়িতে পাওয়া মুদ্রাগুলির মধ্যে বেশ কিছু ১৮৭০-এরও আগে তৈরি। মনে করা হচ্ছে, সেই কারণেই মুদ্রাগুলি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ৫, ১০ এবং ২০ ডলারের মুদ্রাগুলি সবই ক্রম অনুযায়ী সাজানো ছিল ক্যানের ভিতরে। মাটির ভিতরের ওই অংশটা তাঁদের কাছে যেন ব্যক্তিগত ব্যাঙ্কের কাজ করেছিল। বেশির ভাগই সান ফ্রান্সিসকোয় তৈরি। তবে একটি ৫ ডলারের মুদ্রা তৈরি হয়েছে জর্জিয়ায়।

এত সম্পদ নিয়ে কী করবেন দম্পতি? তাঁরা নিজেদের পরিচয় শুধু নিরাপত্তার জন্য গোপন রাখতে চান, এমন নয়। তাঁরা বলেছেন, এত সম্পত্তি পেয়ে তাঁরা পাল্টে গিয়েছেন, এমনটা যেন কেউ না মনে করেন। অনলাইনে কেনাবেচার সংস্থা আমাজনের মাধ্যমে তাঁরা ওই মুদ্রার কিছু বিক্রি করতে চান। আর কিছু ব্যয় করতে চান সামাজিক কাজে। মুদ্রা প্রদর্শনীতেও পাঠাবেন কিছু।

gold california
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy