Advertisement
E-Paper

কিয়েভে হত্যার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী পুলিশ

হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইলেন তাঁরা। তাঁদের সহকর্মীদের ভুলের জন্য। ইউক্রেনে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে তাঁদের সহকর্মীদের হাতে কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ বা মার খেয়েছেন। কিয়েভের সাম্প্রতিক সেই হিংসার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে পুলিশ। পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভ শহরে দেখা যায় সেই বিরল দৃশ্য।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:৫৫
নতজানু। ছবি: রয়টার্স।

নতজানু। ছবি: রয়টার্স।

হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইলেন তাঁরা। তাঁদের সহকর্মীদের ভুলের জন্য।

ইউক্রেনে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে তাঁদের সহকর্মীদের হাতে কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ বা মার খেয়েছেন। কিয়েভের সাম্প্রতিক সেই হিংসার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে পুলিশ। পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভ শহরে দেখা যায় সেই বিরল দৃশ্য।

রাজধানী থেকে দায়িত্ব সেরে ফেরার পরে বারকুট পুলিশ (ইউক্রেনের বিশেষ পুলিশবাহিনী) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থকদের মুখোমুখি হন। তাঁদের দেখেই প্রতিবাদীরা ‘শেম’ ‘শেম’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। অফিসাররা তাঁদের শান্ত করেন। বলেন, তাঁরা সরাসরি হত্যা করেননি। তবু এসেছেন ক্ষমা চাইতে। এক অফিসার বলেন, “আমাদের ক্ষমা করে দিন। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের স্মৃতিতে হাঁটু গেড়ে বসছি।” তাঁরা সহকর্মীদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেও আজই জানা গিয়েছে বারকুট বাহিনীর বেশ কিছু উচ্চপদস্থ অফিসার অস্ত্র-সহ নিখোঁজ।

অন্তর্বর্তী অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আরসেন আভাকভ বলেছেন, কিয়েভের ইনডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে নিরপরাধ মানুষদের হত্যা নিয়ে তদন্তের সূত্রে ওই অফিসারদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। তার পর থেকেই বারকুট বাহিনীর নেতৃত্বস্থানীয় অফিসাররা নিখোঁজ।

তদারকি প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তুর্চিনভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন পিছিয়ে গিয়েছে। আজই সরকার গঠনের কথা ছিল। কিন্তু তুর্চিনভ আজ বলেন, বৃহস্পতিবারের আগে সরকার গঠন সম্ভব নয়। ২৫ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে সেখানে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করায় রাশিয়া মোটেই খুশি নয় ইউক্রেনের উপরে। তাই তারা যে এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে পুতিন সরকার। দেশের আর্থিক দুরবস্থা সে ক্ষেত্রে কী ভাবে মেটানো হবে, ইউক্রেনের নেতাদের মাথায় এখন সেই চিন্তা। ক্রমশ দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটছে ইউক্রেন। ভরসার কথা একটাই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এবং আমেরিকা তাদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।

উদ্ধার কঙ্কাল

মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল প্রায় ৮০টি কঙ্কাল। শ্রীলঙ্কার মান্নার জেলার তিরুকাত্থিস্বরম এলাকার ঘটনা। অঞ্চলটি এক কালে এলটিটিই জঙ্গিদের ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধে নিখোঁজ হন বহু তামিল। এই দেহগুলো তাঁদেরই কি না, কঙ্কাল উদ্ধারের পর সেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ডিসেম্বরে ওখানে নির্মাণকাজের সময় প্রথমে চারটি কঙ্কাল খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু দিন খোঁড়াখুড়ি বন্ধ থাকার পর সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ফের খনন শুরু হয় ওই। তার পরই সামনে আসে গণকবরটি।

ukraine unrest kiev
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy