অপেক্ষা করছিল নির্দেশের। কম্যান্ডোর থেকে আদেশ পেয়েই ওরা পাঁচ জনে গুলি চালাল একসঙ্গে। আর অন্য আর এক জন তখন সিরীয় সেনাদের আক্রমণ করেছে তার হাতের ধারালো অস্ত্রটা দিয়ে। আইএসের এমন একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। ইদানীং মাঝে মধ্যেই যেমন ছড়িয়ে থাকে।
তফাত কিন্তু একটা আছে। এই ভিডিওতে যে জনা ছয়েক আক্রমণকারীকে দেখা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই বয়স দশের কাছাকাছি। অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে আইএস।
গত শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন সেনা বাহিনীর তরফে কর্নেল প্যাট রাইডার বলেছেন, ‘‘আইএসে শিশু সেনাদের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এবং তাদের বয়স দশের কাছাকাছি। কখনও কখনও সেই সব বাচ্চাকে দিয়ে বন্দিদের খুন করাতেও পিছপা হচ্ছে না আইএস।’’ আর সেই প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। এমটাই জানিয়েছেন রাইডার। কারণ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাইডার বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন বিমান হানায় অনেক আইএস জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহত আইএস জঙ্গিদের সংখ্যা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তিনি। সেই ক্ষতিটাকেই পূরণ করতে নিজেদের শিশু ব্রিগেড আইএস সাজাচ্ছে বলে মনে করেন রাইডার।
ব্যাট-বল নয় ছোট থেকেই বাচ্চাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে অস্ত্র। মনে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে হিংসার বীজ। আইএসের তরফ থেকে প্রকাশিত নানা ভিডিওয় এমনটাই দেখা যাচ্ছে। নিজেদের আদর্শে কী ভাবে তারা গড়ে তুলছে বাচ্চাদের, তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বন্দুক চালানোর, মুখোমুখি যুদ্ধের— সে সব স্পষ্ট রয়েছে ওই ভিডিওগুলিতে।
যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন সেনারা এই শিশুদের মুখোমুখি হলে কী করবে? তখন কি তাদের উপরেও চড়াও হবে মার্কিন বাহিনী?
খানিক থেমে রাইডার বললেন, ‘‘আমরা কোনও নিরীহ ব্যক্তিকে মারব না।’’ তবে তিনি সঙ্গে সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘বাস্তবটা হল, কোনও সশস্ত্র আইএস জঙ্গি যদি আক্রমণ করে, তা হলে তারা সর্বদাই মার্কিন সেনা বাহিনীর লক্ষ্য।’’