আইএসআইএসের বিরুদ্ধে লড়ছে কুর্দ বাহিনীও। উত্তর ইরাকের রাস্তায় তাদের ট্যাঙ্ক। ছবি: রয়টার্স।
ইরাক-সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ আউটপোস্ট কাইম ও আনবার প্রদেশের শহর রাওয়া দখলে এসেছিল গত কালই। এ বার ওই প্রদেশেরই আরও তিনটি শহর ও জর্ডন সীমান্তের একটি আউটপোস্টও দখল করেছে আইএসআইএস জঙ্গিরা। বেগতিক দেখে আজ ইরাক সীমান্তে ওই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনীও।
আনবার প্রদেশের আরও চারটি শহর আইএসআইএসের দখলে যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী নুরি অল-মালিকি সরকার ও পশ্চিমী দুনিয়া। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইরাকি সেনাবাহিনীর এক অফিসার জানিয়েছেন, এখন সিরিয়া সীমান্ত থেকে বাগদাদ পর্যন্ত জাতীয় সড়কের বড় অংশ জঙ্গিদের দখলে চলে গিয়েছে। সিরিয়া সীমান্ত থেকে চার ঘণ্টার মধ্যেই বাগদাদে পৌঁছে যেতে পারে তারা।
কেবল সীমান্তের আউটপোস্ট নয়, সিরিয়ার ইরাক-সীমান্তবর্তী শহর মুহাসান শহরও আইএসআইএসের দখলে গিয়েছে। ইরাকে আইএসআইএসের পাশে দাঁড়িয়েছে নানা সুন্নি গোষ্ঠী। একই ভাবে মুহাসানের সুন্নি উপজাতীয় নেতারা তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাসার-অল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখন মূল ভূমিকা নিয়েছে আইএসআইএস। মুহাসান দখলে আসায় দু’দেশের সীমান্তে একটি বড় অংশ দখলে চলে গিয়েছে তাদের। ফলে, বিপদ বুঝে ইরাক সীমান্তে ওই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে সিরিয়ার বায়ুসেনা। তাতে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বাগদাদে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে নয়া সরকার গড়ার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চাইছে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই নুরি অল-মালিকির সরকারকে সাহায্য করার জন্য ৩০০ জন কম্যান্ডো পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। কিন্তু শিয়া-সুন্নি মেরুকরণের ফলে মার্কিন সেনা শিয়াপ্রধান মালিকি সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে বলে ধারণা তৈরি করতে চায় না ওয়াশিংটন।
আজ পশ্চিম এশিয়া সফরে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। ইরাক সঙ্কট নিয়ে তিনি বিভিন্ন মিত্র রাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলে কৌশল তৈরি করবেন বলে জানিয়েছে বিদেশ দফতর। আজ মিশরে প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ অল-সিসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। পরে জর্ডনে যাওয়ার কথা তাঁর।
এর পরে ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে ব্রাসেলস ও প্যারিসে যাবেন মার্কিন বিদেশসচিব। পরিস্থিতি বুঝতে ইরাকেও যেতে পারেন তিনি।
মসুলে অপহৃত ৩৯ জন ভারতীয় শ্রমিক সম্পর্কে নতুন কোনও তথ্য আজ জানায়নি বিদেশ মন্ত্রক। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারত শাখার পক্ষে গত কাল দাবি করা হয়, নজাফে কয়েকশো ভারতীয় আটকে পড়েছেন।
সংগঠনের অভিযোগ, যে সংস্থার হয়ে ভারতীয়রা নজাফে কাজ করতে গিয়েছেন সেই সংস্থাগুলি তাঁদের পাসপোর্ট জমা রেখে দিয়েছে। ইরাকের অশান্তি দেখে ওই শ্রমিকেরা এখন দেশে ফিরতে চাইলেও সংস্থাগুলি পাসপোর্ট দিতে রাজি হচ্ছে না। মন্ত্রক জানিয়েছে, কারবালা ও নজাফের ভারতীয়রা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy