কিছু ক্ষণ আগেই ঘটে গিয়েছে বিস্ফোরণ। নমুনা সংগ্রহের কাজে ব্যস্ত ফরেন্সিককর্মী। শুক্রবার পাকিস্তানের শিকারপুরে। ছবি: রয়টার্স।
ফের জঙ্গি হামলা পাকিস্তানে। এ বার নিশানায় ধর্মীয় স্থান। সিন্ধু প্রদেশের শিকারপুর শহরের লখি ডাল এলাকার একটি মসজিদে আজ বড়সড় হামলা চালাল জঙ্গিরা। শক্তিশালী ওই বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। আহত কমপক্ষে ৫৫ জন। পুলিশ জানাচ্ছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশুও। গত ডিসেম্বরে পেশোয়ারের সেনা স্কুলে হামলার পরে পাকিস্তানে এত বড় ধরনের জঙ্গি হামলা এই প্রথম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আজ বিকেলে নমাজ পড়ার সময় বেশ ভিড় ছিল ওই মসজিদে। হঠাৎই একটা বিকট শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মসজিদের ছাদের একটা অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ধোঁয়া আর মানুষের আর্ত চিৎকারে তখন ছেয়ে গিয়েছে গোটা শিকারপুর। বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে বহু দূর থেকে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জেরে নমাজ পড়তে আসা অনেকেই ধ্বংসস্তূপে আটকে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। নিজেদের গাড়ি, মোটরবাইক এমনকী রিকশা করেও আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন অনেকে। আহতরা শিকারপুর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যে আসে পুলিশও। কিন্তু রাত পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে সকলকে বার করে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এত ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। অন্তত প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের এমনই অনুমান। তবে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজকের বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে জুনদুল্লাহ জঙ্গি গোষ্ঠী। এক সময় তালিবানের ছত্রছায়ায় থাকা এই সংগঠন গত বছরই নিজেদের স্বতন্ত্র গোষ্ঠী তৈরি করেছে। এই হামলার কড়া নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy