এই সেই জাল ছবি। সৌজন্যে টুইটার।
একটা সাদা কাগজ হাতে দাঁড়িয়ে মিশেল ওবামা। তাতে লেখা ‘ব্রিং ব্যাক আওয়ার হামভিস’। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং টুইটারের মাধ্যমে মার্কিন ফার্স্ট লেডির এই ছবি ছেয়ে ফেলেছে ওয়েব-দুনিয়া।
ছবিটা অবশ্য আসল নয়। ফোটোশপ-জাতীয় কোনও প্রযুক্তির সাহায্যে বানানো। মূল ছবিটি অনেকেরই মনে থাকবে। নাইজেরীয় জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের হাতে অপহৃত স্কুল ছাত্রীদের মুক্তির দাবিতে কিছু দিন আগে এ ভাবেই সরব হয়েছিলেন মিশেল। ছাত্রীদের মুক্তির জন্য প্রচারের মূল মুখ ছিলেন তিনিই। মাসখানেক আগে টুইটারেই দেখা গিয়েছিল সেই ছবি। মিশেলের হাতে পোস্টার। তাতে লেখা ‘ব্রিং ব্যাক আওয়ার গার্লস’। সেই ছবি বেরোনোর পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেও ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তার পর মুখ খুলেছিল নারী শিক্ষা প্রচারের আর এক মুখ পাক কিশোরী মালালা ইউসুফজাইও।
তবে মিশেলদের সেই আবেদন বোকো হারামের মধ্যে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। নাইজেরিয়ার সেই স্কুল ছাত্রীরা এখনও ছাড়াও পায়নি। তা হলে এত দিন বাদে, মূল বার্তাটা একটু পাল্টে, মিশেলের সেই অতি পরিচিত ছবিটি কেন ফের টুইটারে? কাদের কাজ এটা?
উত্তরটা লুকনো ‘হামভি’ শব্দটির মধ্যে।একটি মার্কিন সংস্থার তৈরি এই বড় ধরনের গাড়ি ইরাকে জঙ্গিদের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহার করে ইরাকি সেনারা। কিন্তু উল্টে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে সেই গাড়িগুলোকেই হাতিয়ে নিয়েছে ইরাকি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএস। তারাই টুইটারে পোস্ট করেছে মিশিলের এই ব্যঙ্গ-চিত্র। ইরাকি সেনাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাঙ্ক থেকে শুরু করে আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসও এই জঙ্গিরা নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছে। আইএসআইএসের দাবি, গাড়ি-সহ হাতানো জিনিসগুলো সিরিয়ায় পাচার করে দিয়েছে তারা। ইরাকি সেনার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া একটি হামভি গাড়ি জ্বালানোর ছবিও সম্প্রতি ইন্টারনেটে পোস্ট করেছে তারা।
এই জঙ্গি সংগঠনটিই ইরাকে বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি তৈরির মূল হোতা। তাই ঘর সামলাতে ইরাক যখন হোয়াইট হাউসের সাহায্য চাইছে, ফার্স্ট লেডিকে ব্যঙ্গ করে নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে দিল আইএসআইএস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy