বুদ্ধি খাটিয়ে আর ইন্টিরিয়রের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলেই ছাদেও হতে পারে প্রিয় বাগান।
শহরের তাপমাত্রা প্রবল গরমেও কয়েক ডিগ্রি নামিয়ে দিতে পারে ছাদের বাগান। শহরের দূষণ এক লহমায় অনেকটাই কমিয়ে দিতেওসক্ষম সে।ফ্ল্যাটের চেয়ে নিজের বাড়ি থাকলে এই শখ পূরণ বেশি সহজ হয়। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের এক টুকরো ছাদকে আপন করে তোলার তেমন জো থাকে না। তবে আধুনিক ব্যবস্থার কিছু ফ্ল্যাটে কিন্তু বাসিন্দারা সকলে মিলেই নিজের নিজের বাগান সাজাতে পারেন।
প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। রাজধানী শহর ঢাকা। দূষনেও প্রথম সারিতেই। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে প্রায় সারা শহর জুড়ে রুফ টপ গার্ডেন বা ছাদে বাগান করার প্রবনতা দেখা দিয়েছে বাসিন্দাদের মনে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে ছাদ-বাগান। শুধুমাত্র গুল্মজাতীয় গাছ নয়, মাটির বন্দোবস্ত করে বনসাই পদ্ধতিতে রীতিমতো বৃক্ষের আবাসস্থল হয়ে উঠছে ঢাকার ছাদ-বাগানগুলি।
কলকাতা শহরেও এখনকার বিভিন্ন হাইরাইজ বিল্ডিং-এর বিজ্ঞাপনে ছাদ বাগানের ছবি দেওয়া থাকে। এমনকি শহর কলকাতার রুফ টপের অনেক কফি শপ বা রেস্টুরেন্টেও ছাদের বাগানের ছোঁয়া থাকে। তবে ছাদের বাগান করতে হলে বেশ কিছু বিষয় আগে থেকে মাথায় রেখে দেওয়া দরকার। ছাদের উপর ওয়াটারপ্রুফ ব্যবস্থা করে, সেখানে কিছু অংশ ঘিরে, মূল ছাদ থেকে ছোঁয়া এড়িয়ে মাটি ফেলতে হবে। ড্রেনেজ সিস্টেম যেন খুব ভাল থাকে। ছাদের উপরে যে আলাদা করে স্ল্যাভ ঢালাই করা হবে সেগুলোর মধ্যে যেন কোনও ভাবেই ফাঁক না থাকে। স্ল্যাভের নীচের দিকে পিচ চট বা ওয়াটারপ্রুফ শিট দিয়ে দিতে পারেন। মোটকথা, কোনও ভাবেই যেন ছাদের উপরে মাটির জল ছাদ না ছোঁয়।
খুব বড় মাটির টবে বা অন্য বড় কিছুতে মাটি রেখে তার পর বড় বড় গাছ লাগানো যেতে পারে ছাদের বাগানেও
সেই মাটির গভীরতার উপরে গাছ লাগানো নির্ভর করে। সাধারণত এসব বিছিয়ে থাকা মাটিতে কোরিয়ান ঘাস কিংবা মরসুমি ফুল লাগানো হয়ে থাকে। এরপর ছাদের বিভিন্ন ধার ঘেঁষে মাটি রাখার জায়গা বানাতে হবে। এক-একটির গভীরতা তিন-চার ফুট পর্যন্ত হতে পারে। খুব বড় মাটির টবে বা অন্য বড় কিছুতে মাটি রেখে তারপর বড়বড় গাছ লাগানো যেতে পারে। ছাদের অবস্থা যদি ঠিক থাকে,ছাদে বড় বড় গাছও লাগানো যায়। আম,জামরুল,কলা,এমনকি বনসাই নারকেল গাছও লাগানো যেতে পারে।
এরপর বিছিয়ে থাকা মাটিতেসমান করা কোরিয়ান ঘাসে বসার জায়গা থেকে ছোট্ট ঝর্না বা ব্রিজও করা যেতে পারে। বিছিয়ে থাকা একটা সুন্দর মাঠ কিংবা পার্ক,বা একটা ছোটখাটো জঙ্গলও আপনার ছাদে অপেক্ষা করে থাকতে পারে। শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে আর ইন্টিরিয়রের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলেই ছাদেও হতে পারে প্রিয় বাগান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy