protein

ডিম খেলেই সন্তানের অ্যালার্জি? পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে এ সব খাওয়ান রোজ

কোন কোন খাবার হয়ে উঠতে পারে ডিমের বিকল্প?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৯ ১৩:৫২
Share:

অনেক সময় দেখা যায় ডিম থেকেই অ্যালার্জির শিকার হচ্ছে শিশু। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

সস্তায় পুষ্টিকর ও প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস হলেও ডিম নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে অনেক অভিভাবকেরই। সাধারণত শিশুরা ডিম বা ডিম দিয়ে বানানো খাবার পছন্দই করে। অনেক সময়ই দেখা যায়, যে শিশুর মাছ-মাংসে অত সায় নেই, তারও কিন্তু ডিমের প্রতি একটা অদম্য টান থাকে। কিন্তু কেবল মনই নয়, পেটেও তো সইতে হবে!

Advertisement

আর এখানেই অভিভাবকেরা পড়েন সমস্যায়। পুষ্টিবিদরা ডায়েটে ডিম রাখতে বললেও অনেক সময় দেখা যায় ডিমে সন্তানের অ্যালার্জি। তাই পাতে ডিম তুলে দেওয়ায় তৈরি হয় নানা জট। একটি ডিম থেকে প্রায় ৬০-৭০ ক্যালোরি শক্তি তো মেলেই, পাশাপাশি প্রোটিনেরও একটি বিরাট ভাণ্ডার এই ডিম। ডিমের কুসুমে সব রকম খাদ্যোপাদানের ভারসাম্য থাকে বলে সুষম খাবারের তকমাও তার। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের অনেকটাই জোগান দিতে পারে এক টুকরো ডিম।

অনেকেই চিন্তায় পড়েন এই ভাবনায় এসেই। ডিমই যদি বারণ হয়ে যায়, তা হলে তো সন্তানের পুষ্টির সঙ্গে অনেকটাই আপস করতে হচ্ছে! অনেক মা-বাবাই সে ক্ষেত্রে সিরিয়াল কোনও সাপ্লিমেন্ট বা প্রোটিন শেকগুলির শরণ নিয়ে থাকেন। তবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট বা বাজারচলতি প্রোটিন শেক খুব একটা কাজের নয় বলেই মত পুষ্টিবিদদের। বরং তাঁদের মতে, ডিমের ঘাটতি মেটাতে হবে সারা দিনের অন্য খাবার দিয়েই। কোন কোন খাবার হয়ে উঠতে পারে ডিমের বিকল্প?

Advertisement

আরও পড়ুন: ডায়েটে নেই খেজুর? এ সব ক্ষতি করছেন অজান্তেই

টক দই: প্রতি দিন শিশুর ডায়েটে রাখুন এটি। লিভারে যেমন প্রোবায়োটিক উপাদানের জোগান বাড়বে, তেমনই ডিম থেকে পাওয়া ক্যালসিয়ামের অনেকটা পূরণ করতে পারে এই খাবার। দই-ভাত, সালাডে দই বা ওটসের সঙ্গে দই— শিশুর রোজের ডায়েটে রাখুন। দিনে অনেকটা টক দই ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সয়াবিন: ডিম বন্ধ হলে সয়াবিনকে নিয়ে আসুন খাবারের পাতে। প্রতি দিন ডিম থেকে যে পরিমাণ প্রোটিন মিলত, সয়াবিনের হাত ধরে এ বার সেটুকু যাবে সন্তানের পুষ্টিতে। উদ্ভীজ্জ প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস এই সয়াবিন। তবে সয়াবিন থেকে তৈরি হওয়া ফ্লেক্স বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে সয়াবিনের তরকারি বা সালাড বানিয়ে দিন শিশুকে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে কৃত্রিম নানা উপাদান মেশানো থাকে। থাকে অতিরিক্ত চিনি ও ট্রান্স ফ্যাট। তাই ও সব এড়িয়ে তরকারি, সয়াবিনের দুধ, বা সালাডে সয়াবিন যোগ করে দিন শিশুকে।

আরও পড়ুন: বয়সের ছাপ পড়ছে মুখে? এই সব ঘরোয়া উপায়েই সরবে বলিরেখা

পনির: ডিম নেই এমন যে কোনও বেকড খাবারে ছানা বা পনিরকেই ডিমের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। ছানাকে ভাল ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। অনেকটা ক্রিমের মতো থকথকে হয়ে উঠলে তা দিয়ে বানিয়ে দিন শিশুর মনের মতো ছানার তরকারি। পনিরের টুকরো বা ছানা ভাজা মিশিয়ে দিন রোজের সালাডে। ছানা ব্লেন্ড করে রুটির মধ্যে পুর আকারে ভরে টিফিনেও দিতে পারেন। পনির-পরোটা এড়ান শিশুর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই। তবে মাঝেসাঝে মুখ বদলাতে হালকা তেলে পনির-পরোটা বানিয়ে দিতে পারেন।

কলা: বেশির ভাগ শিশুই ফল খেতে খুব একটা পছন্দ করে না। কিন্তু ছোট থেকেই এই অভ্যাস তৈরি করুন। একবারে অনেকটা খেতে না চাইলেও নানা ভাবে বারে বারে ফলকে রাখুন ডায়েটে। একটু টক দই ও গোলমরিচ ছড়িয়ে বানিয়ে দিন ফ্রুট সালাড। ডিম খাওয়া বারণ হলে এই সালাডের প্রধান উপকরণ করুন কলাকে। এই ফলে পটাশিয়ামের প্রাচুর্য থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রক্ষা করে শিশুকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন