আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ফাইল চিত্র।
প্রয়াত বাংলাদেশের খ্যাতমানা গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার আফতাবনগরের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ৬৩ বছরের এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সঙ্গীতে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
সত্তরের দশকের শেষ দিকে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে সিনেমায় কাজ শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। তিনশোরও বেশি সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। দু’বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। প্রথমটি ‘প্রেমের তাজমহল’ এবং দ্বিতীয়টি ‘হাজার বছর ধরে’ ছবির জন্য। ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ গানগুলি বাংলাদেশ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: ব্রিগেড ভরবে না, আশঙ্কাতেই মোদীর সভা বাতিল করল বিজেপি
আরও পড়ুন: আচমকা শিবরাজ-জ্যোতিরাদিত্য রুদ্ধদ্বার বৈঠক, মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে তুমুল জল্পনা
বুলবুলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগত্। বাংলাদেশের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বুলবুলের মরদেহ মঙ্গলবার বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। বুধবার বেলা ১১টায় তাঁর কফিন নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। সেখানে এই মুক্তিযোদ্ধার প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy