৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ হবে না, জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপির ব্রিগেড ভরানোর ক্ষমতায় আস্থা রাখলেন না দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই রাজ্য দলের প্রস্তাব খারিজ করে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ হবে না। তবে ২৮ জানুয়ারি ঠাকুরনগরে, ২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলে মোদী সভা করবেন বলে রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে। আর সোয়াইন ফ্লু থেকে ‘সেরে উঠে’ আজ, মঙ্গলবারই মালদহে সভা করতে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
গত ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিজেপি বিরোধী ব্রিগেড সমাবেশে মোদী সরকারকে ফেলার ডাক দিয়েছেন ২৩ জন নেতা-নেত্রী। জাতীয় রাজনীতিতে তার প্রভাবও পড়েছে যথেষ্ট। স্বয়ং মোদী দু’দিন ধরে ওই সভার জবাবে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝেছেন, এই পরিস্থিতিতে ব্রিগেড সমাবেশ করে ১৯ জানুয়ারির সভার মোকাবিলা করার মতো সাংগঠনিক শক্তি ও দক্ষতা রাজ্য বিজেপির নেই। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও সোমবার বলেন, ‘‘মাত্র ১৮ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে এনে ব্রিগেড ভরানো মুশকিল হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেছেন।’’ তিনি অবশ্য জানান, মার্চ মাসে ব্রিগেডে নির্বাচনী সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের বদলে আসানসোলে মোদীর সভা হবে জেনে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ব্রিগেড-আসানসোল দূরের কথা, বাংলাতেই বিজেপির ঠাঁই নেই। আগামী দিনে দেশেও ঠাঁই নেই।’’ আর তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আসলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে এমন ব্রিগেড সমাবেশ দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে।’’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘ব্রিগেড ভরাতে পারবে না বুঝে ভয় পেয়ে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা বাতিল করেছে বিজেপি।’’ কংগ্রেস নেতা মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘প্রমাণ হয়ে গেল, বিজেপির এখানে সংগঠন নেই, ভবিষ্যৎও নেই।’’
আরও পড়ুন: আজ অমিতের সভা, আসন জয়ের আশায় বিজেপি
এ দিকে শাহ এ দিন টুইট করেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আমার ২ দিনের সফরে মালদহ (২২ জানুয়ারি) ও ঝাড়গ্রামে (২৩ জানুয়ারি) আমি জনসভা করব। মমতাদিদির তোষণের রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি।’’ দিলীপবাবুও এ দিন জানান, আগের ঘোষণা মতো শাহর সিউড়ির সভা হবে কি না, ঠিক নেই। সবটাই নির্ভর করবে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর। চিকিৎসকেরা তাঁকে আট দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তা সত্ত্বেও তিনি মালদহ এবং ঝাড়গ্রামে আসছেন। বৃহস্পতিবার জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে সভা করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। পার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘অমিত শাহ আসুন। পারলে আরও কয়েক জনকে ভাড়া করে নিয়ে আসুন। তবে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।’’
আরও পড়ুন: ‘সঙ্গে থাকুন, ভাল থাকুন’, এ বার মমতার চিঠি যাবে বাড়ি বাড়ি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy