কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল হওয়া কোনও ওবিসি সার্টিফিকেট এসআইআরের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বুধবার এ কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১০ সালের পর থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত দেওয়া সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছিল হাই কোর্ট। তারই জেরে এই সিদ্ধান্ত বলে কমিশনের একটি সূত্রের খবর। চলতি বছর ১২ জুন রাজ্যে ওবিসির যে তালিকা করেছে, সেই তালিকাও গ্রাহ্য করেছে কমিশন।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব সার্টিফিকেট এসআইআরের কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে ইতিমধ্যেই জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (ডিইও)-দের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পরে দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিল । উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি বলে ধরা হত। ২০১০ সালে তৎকালীন বাম সরকারের আমলে আরও ৪২টি এবং ২০১২ সালে তৃণমূল সরকারের আমলে ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে নতুন করে ‘ওবিসি’ বলে চিহ্নিত করা হয়। সেই সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট।
আরও পড়ুন:
হাই কোর্টের সেই রায়ে বলা হয়েছিল, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে। তার পর নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। হাই কোর্ট আরও জানায়, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যে ৬৬টি জনগোষ্ঠী অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অংশ ছিল, কেবলমাত্র তাদেরই শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে চাকরির নিয়োগ কিংবা কলেজে ভর্তিতে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর জনশুনানি নিয়ে কমিশনের নির্দেশিকাতেও শুধুমাত্র ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত দেওয়া ওবিসি শংসাপত্রগুলিই গ্রাহ্য হবে। শুনানিপর্ব শুরুর আগে গত শনিবার পৃথক ভাবে তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি জনজাতি (এসটি), অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) এবং জন্মের শংসাপত্র জেলা প্রশাসনগুলির থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।