Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভাষা থেকে স্বাধীনতা-পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি ছিল একই ধারাবাহিকতায়

দিনটি শুধু বাংলাদেশের নয়। বাংলা ভাষার। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে বাঙালি আছে, তাদের সবারই গর্ব করার দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। গর্ব হবেই বা না কেন? পরাধীনতার শিকল ভাঙার শব্দ এই গ্রহতে শোনা গিয়েছে গত কয়েক শতক জুড়েই

ভাষার জন্য, নিজের মায়ের মুখে শুনে শেখা মাতৃভাষার জন্য তাজা রক্তে ইতিহাস লেখা হয়েছিল এই ভূখণ্ডে।

ভাষার জন্য, নিজের মায়ের মুখে শুনে শেখা মাতৃভাষার জন্য তাজা রক্তে ইতিহাস লেখা হয়েছিল এই ভূখণ্ডে।

অঞ্জন রায়
ঢাকা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৩
Share: Save:

দিনটি শুধু বাংলাদেশের নয়। বাংলা ভাষার। পৃথিবীর যে প্রান্তে যে বাঙালি আছে, তাদের সবারই গর্ব করার দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। গর্ব হবেই বা না কেন? পরাধীনতার শিকল ভাঙার শব্দ এই গ্রহতে শোনা গিয়েছে গত কয়েক শতক জুড়েই। বিশেষ করে গত শতকে গোটা পৃথিবীই ছিল মানুষের মুক্তির শতক। সেই শতকেই লেখা হয়েছিল এক নতুন ইতিহাস। ভাষার জন্য, নিজের মায়ের মুখে শুনে শেখা মাতৃভাষার জন্য তাজা রক্তে ইতিহাস লেখা হয়েছিল এই ভূখণ্ডে। যা চমকে দিয়েছিল বিশ্ববাসীকে। যার প্রতি সম্মান জানিয়ে রাষ্টপুঞ্জ ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ঘোষণা করেছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।

ঘটনাটি ৬৭ বছর আগের। সে দিন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্রদের পথে নেমে আসা, পাকিস্তানি শাসকের বুলেটে জীবন দেওয়ার পিছনে রয়েছে ইতিহাস। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তান, এখন যা বাংলাদেশ, সেখানে চলেছে ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। সেই আন্দোলন বার বার আক্রান্ত হয়েছে, বাঙালি রুখে দাঁড়িয়েছে, ৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দু’হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ব্যবধানের দু’টি দেশকে পাকিস্তান নাম দিয়ে উভয় প্রান্তকে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান নামে চিহ্নিত করা হল। দুই অংশের ভাষা সংস্কৃতি— কোনও কিছুরই মিল নেই। শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া পাকিস্তান প্রথম থেকেই পূর্বের অর্থাৎ বাঙালি ও বাংলা ভাষাভাষীদের যে অংশটি, তার উপরে সংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নিপীড়ন শুরু করে।

আক্রমণ করা হয় বাঙালির মুখের ভাষাকে। ’৪৭ সাল থেকে সেই সময়ের সরকারি কাজকর্ম ছাড়া সব ডাকটিকিট. পোস্টকার্ড ও ট্রেনের টিকিটে উর্দু ভাষায় লেখা থাকত। পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালি সংস্কৃতিকে এবং ভাষাকে হিন্দুয়ানি আখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে পাকিস্তানিকরণের চেষ্টা চালাতে থাকে।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাষায় ‘অপর’ আসুক, তবে তা নিজের করে নেওয়া চাই

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ছাত্রদের পথে নেমে আসা, পাকিস্তানি শাসকের বুলেটে জীবন দেওয়ার পিছনে রয়েছে ইতিহাস।

’৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে একটি সভা হয়। সভায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একই বছর পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের সভাতেও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপিত হয়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য শত শত নাগরিকের স্বাক্ষর নেওয়া স্মারক জমা দেওয়া হয় সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের কাছে।

আরও পড়ুন: বাংলাভাষা নয়, মাতৃভাষা দিবস

১৯৪৮ সালে জন্ম হল পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্ট লিগের। সভাপতির দায়িত্ব নিলেন কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। তাদের উদ্যোগেই ঢাকায় ৭ দিনের এক কর্মী ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুসলিম লিগ বাঙালি সংস্কৃতি ও ভাষার বিরুদ্ধে ধর্মের অজুহাত তুলে যে নিচু স্তরের প্রচারণা ও অজুহাত চালাচ্ছিল তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার কৌশল আলোচনা হয়।

পৃথিবীর যে প্রান্তে যে বাঙালি আছে, তাদের সবারই গর্ব করার দিন একুশে ফেব্রুয়ারি।

’৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সংসদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য একটি বিল আনেন। মুসলিম লিগ সমর্থিত সাংসদরা এর বিরুদ্ধে আবস্থান নেয়। প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান বিলটির তীব্র বিরোধিতা করেন।

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বিভিন্ন সময়ে ৩ বার সংশোধনী-সহ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেছিলেন। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হল স্টুডেন্ট সেকশন কমিটি। ১১ মার্চ তারিখে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ডাক দেওয়া হল ধর্মঘটের। সে দিন সমাবেশ শেষে মিছিলে মুসলিম লিগের গুন্ডারা এবং পুলিশ যৌথ হামলা চালাল। গ্রেফতার হলেন শেখ মুজিবুর রহমান, শামসুল হক, কাজী গোলাম মাহবুব, শওকত আলি, অলি আহাদ-সহ আরও কয়েক জন।

ছাত্র আন্দোলনের চাপে ১৫ মার্চ মোহাম্মদ আলি জিন্না পূর্ব পাকিস্তান সফরে এসে বিস্ফোরণমুখ এক পরিস্থিতির মুখে পড়লেন। তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষরও করলেন। কিন্তু কথা রাখলেন না জিন্না। পাকিস্তানের ৫ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা উর্দুকে তিনি পরবর্তীতে রাষ্ট্রভাষার কথা ঘোষণা করেন। রেসকোর্স ময়দানে তিনি ঘোষণা করলেন, “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।”

২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সমাবর্তনে জিন্না ‘স্টুডেন্টস রোল ইন নেশন বিল্ডিং’ শিরোনামে একটি ভাষণ দেন। সেখানেও তিনি বললেন, “পাকিস্তানের রাস্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি উর্দু, একমাত্র উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয়কে তুলে ধরে।” উপস্থিত ছাত্ররা তাৎক্ষণিক ‘নো, নো’ বলে চিৎকার করে উঠল। ১৮ মার্চ ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময়ও জিন্না উর্দুর পক্ষেই তার অবস্থান জানালেন। তার কিছু দিনের মধ্যেই জিন্না মারা গেলেন। খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হলেন। তিনি হাঁটলেন জিন্নার জুতো পায়েই। ’৪৯ সালে খাজা নাজিমুদ্দিনের উদ্যোগে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে আর্বি হরফে প্রচলনের একটি প্রস্তাব দেয়। ডক্টর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ-সহ সব ভাষাবিদ সেই উদ্ভট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন।

১১ মার্চ ১৯৫০ সালে আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ মুভমেন্ট কমিটি। সংসদে আরবি হরফে বাংলা লেখার ব্যাপারে এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপিত হল। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত এবং নবগঠিক আওয়ামি মুসলিম লিগ নেতারা প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করলেন। ১৯৫১-য় জন্ম হল পূর্ব পাকিস্তান যুব লিগের। যুব লিগ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি-সহ চাপিয়ে দেওয়া ভিনদেশি সংস্কৃতির বদলে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি, পয়লা বৈশাখ, নবান্ন— এগুলো চর্চায় উচ্চকিত হয়ে উঠল। ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ে চলতে থাকে একের পর এক সমাবেশ।

’৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল পল্টন ময়দানে আবারও ঘোষণা করলেন, উর্দুই কবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। সমাবেশ জুড়ে স্লোগান উঠল, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হল ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট। ২১ ফেব্রুয়ারি ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২, পাকিস্তান সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল। ২০ ফেব্রুয়ারি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় অধিকাংশেই ১৪৪ ধারা ভাঙার মতামত দিলেন।

২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠের পাশে, মেডিক্যাল কলেজের গেটের পাশে জমায়েত হতে শুরু করলেন ছাত্রছাত্রীরা। সকাল ১১টায় আব্দুল মতিন, গাজিউল হক. কাজী গোলাম মাহাবুব, আলি আহাদের উপস্থিতিতে শুরু হল সমাবেশ। বেলা ১২টার দিকে সাধারণ ছাত্ররাই ১৪৪ ভাঙার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, পূর্ববাংলা আইন পরিষদের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। শুরু হল পুলিশের বেপরোয়া গুলি ও লাঠি। ঘটনাস্থলেই আবুল বরকত, রফিকুদ্দিন আহমেদ এবং আব্দুল জব্বার বুলেটে মারা গেলেন। হাসপাতালে মারা গেলেন আব্দুল সালাম। সেই সময় ওহিউল্লাহ নামে ৯ বছরের শিশুও পুলিশের গুলিতে মারা যায়। ৩ ঘণ্টার সংঘর্ষে পুলিশ ছাত্রদের সে দিন স্থানচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। বিকেল ৪টা নাগাদ ঢাকা শহরে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গুলিবর্ষণের খবর। শত শত মিছিল এগিয়ে আসতে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে।

গুলি বর্ষণের সংবাদ আইন পরিষদে পৌঁছলে, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নেতৃত্বে ৬ জন আইন পরিষদ সদস্য সভা মুলতবি করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আহত ছাত্রদের দেখতে যাওয়ার জন্য সেই সময়ের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনকে আহ্বান করেন। সেই সময়ের সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশও এ প্রস্তাবের স্বপক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন এ সকল দাবি উপেক্ষা করে আইন পরিষদের অধিবেশন চালানোর নির্দেশ দেন। এর প্রতিবাদে ওয়াক আউটের ঘটনা ঘটে। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতভর প্রচারণা চলতে থাকে, ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় সমাবেশ। ২২ ফেব্রুয়ারি ২১শে’র শহিদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ভাষা শহিদের নমাজের জানাজা শেষে বের হয় শোক মিছিল। সেই শোক মিছিলে আবারও গুলি চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় শফিউর রহমান-সহ মারা যান আরও ৪ জন। ক্রুদ্ধ জনতা ঢাকার রথখোলায় সরকার দলীয় পত্রিকা দ্য মর্নিং নিউজের অফিস পুড়িয়ে দেয়। পাকিস্তান সরকার সেনা নামিয়ে জনতার বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এর পরও পুরনো ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল ছাত্র জনতার জমায়েত। সেই জনসমুদ্রের কাছে পরাজিত হয় পাকিস্তানি শাসকেরা। কোনও বিকল্প না পেয়ে নুরুল আমিন আইন পরিষদের বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতি দেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনেন। যা সর্বস্মতিক্রমে পাশ হয়।

২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন যেখানে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, সেখানেই নির্মিত হয়, শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ। সকাল ১০টায় শহিদ শফিউর রহমানের বাবা স্মৃতিস্তম্ভটি উন্মোচন করেন। সারা দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানি শাসক বিরোধী আন্দোলন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনা বাহিনী এবং পুলিশ যৌথ ভাবে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ গুঁড়িয়ে দেয়। তখন এ জনপদে আন্দোলন গড়ে ওঠে ‘বর্বর’ নুরুল আমিনের পদত্যাগের দাবিতে।

অন্য দিকে, পাকিস্তানপন্থীরা একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনকে পাকিস্তানকে মুসলিম সংস্কৃতিতে থেকে বিচ্যুত করার লক্ষে হিন্দু ও কমিউনিস্টদের ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেন। কিন্তু ধোপে টেকেনি তাদের এ যুক্তি।

এর পরে পুরোটাই ইতিহাস। ভাষার লড়াইয়ের শেষ পরিণতি স্বাধীনতার যুদ্ধ। যে জনপদের মানুষ তাদের মায়ের ভাষার জন্য লড়াই করে জিতে নিয়েছিল প্রতিটি অক্ষর, শহিদ হয়েছিলেন রফিক-সালাম-জব্বার। সেই জনপদের মানুষ তাদের মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধে যাবে— সেটাই তো স্বাভাবিক। ’৫২ সালের মায়ের ভাষার লড়াই বাঙালিকে ধাবিত করেছিল মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য। ’৫২-র সেই শহিদদের কাতারে যোগ হয়েছিলেন আরও ৩০ লাখ শহিদ। ভাষা থেকে স্বাধীনতা, পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই জারি ছিল একই ধারাবাহিকতায়।

ছবি: রফিকুল ইসলাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE