আইএস নয়। আল-কায়েদাও নয়। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের দিকেই আঙুল তুলল বাংলাদেশ। ঢাকার বক্তব্য, কোনও আন্তর্জাতিক মৌলবাদী সংগঠন নয়। গুলশনের ঘটনায় যারা জড়িত, তারা সকলেই বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তবে তাদের পিছনে সমর্থনের হাত রয়েছে আইএসআইয়ের।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদাজ্জুমান খান রবিবার বলেছেন, ‘‘আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, গুলশনের ঘটনায় আইএস বা আল-কায়েদা মোটেই জড়িত নয়। বাংলাদেশে তাদের কোনও অস্তিত্বও নেই। গুলশনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারা কেউই কোনও আন্তর্জাতিক মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের সদস্য নয়। ওরা সকলেই আমাদের দেশের, ওদের আমরা চিনি। চিনি ওদের পূর্বপুরুষদেরও। ওরা সকলেই ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ নামে একটি মৌলবাদী সংগঠনের লোকজন। ওরা সকলেই উচ্চশিক্ষিত। সম্ভ্রান্ত পরিবারের। কারা ওদের মদত দিচ্ছে, তা-ও জানি।’’
কারা তারা? গুলশনের ঘটনার চক্রী বা আততায়ীরা কাদের মদত পেয়েছে?
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্পষ্ট করে না জানালেও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম অবশ্য সেই ‘মদতদাতা’দের নাম জানাতে দ্বিধা করেননি। তৌফিক বলেছেন, ‘‘গুলশনের ঘটনায় জড়িত জামাতুল মুজাহিদিনই। যে ভাবে চাপাতি দিয়ে মানুষকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে, সেটা ওরাই করে থাকে। আর ওদের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সম্পর্ক বহু দিনের। সকলেই জানেন সে কথা। যে ধরা পড়েছে, তাকে জেরা করেই অনেক কিছু জানা গিয়েছে।’’