সিডনিতে নিজ বাড়িতে খুন হওয়া বাংলাদেশি তাসমিন বাহার। পাশে স্বামী ডেভ পিল্লাই। ছবি : সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এই উপমহাদেশের এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, বাংলাদেশি স্ত্রী তাসমিন বাহারকে (৩৫) তাঁর প্রাক্তন ভারতীয় স্বামী দেব পিল্লাই খুন করার পর আত্মহত্যা করেছেন। গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিডনির স্মিথফিল্ড এলাকার এক বাড়ির বাথরুম থেকে তাসমিন বাহার ও তাঁর সাবেক স্বামী ডেভ পিল্লাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় তাঁদের তিন বছর বয়সী মেয়ে বাড়িতেই ছিল। সিডনির পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তাসমিন বাহার ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত ডেভ পিল্লাইয়ের এক আত্মীয়ই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে প্রথম তাঁদের মৃতদেহ দেখতে পান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনও ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তাসমিনের বোন সারাজিন বাহার জানিয়েছেন, দু’দিন আগেও বোনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। তখন বেশ স্বাভাবিকই ছিলেন তাসমিন। দাম্পত্য কলহের দরুন সম্প্রতি দেব পিল্লাইকে ছেড়ে চলে যান তাসমিন। স্মিথফিল্ডের বাড়ি ছেড়ে তিনি মেয়েকে নিয়ে একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে ওঠেন। এর পরেও ‘পিতৃ দিবস’ উপলক্ষে রবিবার সকালে মেয়েকে নিয়ে স্মিথফিল্ডের বাড়িতে যান তাসমিন বাহার।
সারাজিন বাহার জানিয়েছেন বলেন, তাসমিনের সঙ্গে দেব পিল্লাইয়ের ছ’বছর সম্পর্ক ছিল। অতীতে ডেভ তাঁর বোন ও ভাগ্নিকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের ভয় দেখাত। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বোন তাসমিন পুলিশের কাছে একটি অভিযোগও করেছিলেন। সপ্তাহ কয়েক আগে তাসমিন বাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছিলেন। নিউইয়র্কে থাকা সারাজিন বাহার বাংলাদেশ হয়ে সিডনি যাচ্ছেন। বোনের মেয়েকে নিজের কাছে নিতে চান সারাজিন। তাসমিন বাহারের দূর সম্পর্কের বোন সিফাত শারমিন রুপন্তি বলেন, ডেভ পিল্লাই ছুরি হাতে তাসমিনকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের ভয় দেখাতেন। তাসমিন বাহার ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। ২০০৯ সালে তাসমিন অস্ট্রেলিয়া যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy