Advertisement
০৪ মে ২০২৪

রাতভর গুলি, ঢাকায় নিহত ৯ জঙ্গি

ঢাকার একটি বহুতল বাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও একটি বড় জঙ্গি হামলা রুখে দেওয়ার দাবি জানাল বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া ৯ তরুণ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-র সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ জানিয়েছে, এরা সকলে কল্যাণপুরের এই বাড়িটিতে জড়ো হয়ে কোনও অভিযানে বেরোনোর তোড়জোড় করছিল।

তখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

তখনও চলছে তল্লাশি অভিযান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০৫:২০
Share: Save:

ঢাকার একটি বহুতল বাড়িতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও একটি বড় জঙ্গি হামলা রুখে দেওয়ার দাবি জানাল বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া ৯ তরুণ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি (জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ)-র সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ জানিয়েছে, এরা সকলে কল্যাণপুরের এই বাড়িটিতে জড়ো হয়ে কোনও অভিযানে বেরোনোর তোড়জোড় করছিল। আহত হয়ে ধরা পড়েছে এক জঙ্গি। গুলশনের জঙ্গিদের সঙ্গে এদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দাদের ধারণা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘জঙ্গিরা হামলা চালাতে তৈরি হয়েছিল। পুলিশের তৎপরতায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে।’’ এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামিকাল দিল্লিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রাজনাথ সিংহের। দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠকে আইএস ও সন্ত্রাস-দমনে সহযোগিতা নিয়েই আলোচনা হওয়ার কথা। ঢাকার এই অভিযানের প্রসঙ্গও উঠবে। জঙ্গি গতিবিধি নিয়ে তথ্য দেবে ভারত।

জঙ্গি ডেরায় অস্ত্রশস্ত্র। —নিজস্ব চিত্র।

সোমবার রাত বারোটার পরে কল্যাণপুরে ‘তাজ মঞ্জিল’ নামে বহুতল ঘিরে ফেলে পুলিশ। বাড়িটির দু’টি তলায় ছাত্ররা ভাড়া থাকেন। জঙ্গিরা পাঁচ তলায় পড়ুয়াদের মধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ তিন তলায় ওঠার পরেই পাঁচ তলা থেকে গুলি ও হাতবোমা ছোড়া শুরু হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। সে সময়েই গুলিবিদ্ধ রাকিবুল হাসান ওরফে রিগানকে পাকড়াও করা হয়। প্রথম দফায় রাত দেড়টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। তার পরে আসেন র‌্যাব, সোয়াট-সহ বিভিন্ন বাহিনীর কম্যান্ডোরা। রাত সাড়ে তিনটেয় আরও এক দফা লড়াই হয়। তার পর পুলিশ হাত-মাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলে। জবাবে তারা স্লোগান শুরু করে। গুলিও ছুড়তে থাকে। এর পর ভোর পাঁচটা থেকে চূড়ান্ত অভিযান ‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক লড়াইয়ের পরে পাঁচ তলার দখল নেন জওয়ানরা। উদ্ধার হয় ৯ জঙ্গির দেহ।

পুলিশ জানিয়েছে, তাদের দিকে ১১টি গ্রেনেড ছোড়া হয়, যার একটি না-ফাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কেজি পাঁচেক বিস্ফোরক, ৪টি পিস্তল, বেশ কিছু বুলেট, একটি তলোয়ার, ডজন খানেক ছুরি ছাড়া আইএস-এর কালো পতাকাও পাওয়া গিয়েছে বেশ কয়েকটি। পুলিশের কথায়— হোলি আর্টিজানে হামলাকারীদের মতো এই জঙ্গিরাও বয়সে ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। পরনে ছিল কালো জোব্বা ও জিন‌স। সঙ্গে ব্যাকপ্যাক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dhaka terrorist attack
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE