এই নির্মাণেই উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ।
বিদ্যালয়ের পাকা শৌচাগার নির্মাণে বরাদ্দ ছিল রড। কিন্তু, সেই কাজ বাঁশ দিয়ে করা হয়েছে।
অভিযোগ, নির্মাতা সংস্থার এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বেশ কয়েক জন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাও। ২০১৫ সালের এই ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তেরা বাংলাদেশের গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের উপসহকারী পরিচালক এ এস এম আরেফ বিল্লাহ, নির্মাতা আব্দুল খালেক সরকার ও অধিদপ্তরের কর্মচারী মো. সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মঈদুল ইসলাম এই নির্মাণকাজ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনও পাকা নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করার কোনও আইন নেই। সুযোগও নাই। এই কাজটি ছিল সরকারি নির্মাণ কাজ, সেই কাজে সরকারের নির্দেশনা দেওয়া আছে কী পরিমানে কোন মাপের রড ব্যাবহার করতে হবে। সেই নিয়ম মানার শর্ততেই কনট্রাক্টরকে ওয়ার্কঅর্ডার নিতে হয়েছে। কিন্তু সরকারের শর্ত না মেনে রডের খরচ বাঁচিয়ে অসৎ ভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে বাঁশ। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুন: লন্ডনে অ্যাসিড নিয়ে তাড়া সস্ত্রীক তামিমকে? অস্বীকার করলেন বাংলাদেশি তারকা
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে গাইবান্ধা জেলার মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণ কাজ। কাজটির দায়িত্ব পান সাদুল্যাপুর উপজেলার কনট্রাক্টর আব্দুল খালেক সরকার। কাজের নির্দেশনা মোতাবেক ঢালাইয়ের কাজে ১০ থেকে ১২ মিলিমিটার লোহার রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঢালাইয়ে রডের পরিবর্তে চিকন বাঁশ দিয়ে ঢালাই দিয়ে দেয়া হয়েছিল। নির্মাণ কাজের অনিয়মের কারণে ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল তিনজনের বিরুদ্ধে জেলার সদর থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই ঘটনায় উপসহকারী ইঞ্জিনিয়ার আরিফ বিল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy