আকাশ পথটা ঢাকা-কলকাতার মাঝে হাইফেন। উড়ান চল্লিশ মিনিটের। উড়তে উড়তেই নামার তাড়া। বেশি উঁচুতে ওঠে না। যাতে নামতে কষ্ট হয়। টেক অফ-ল্যান্ডিংয়ে অনেকটা সময় খেয়ে নেয়। যেতে আসতে আর কতক্ষণ। ঢাকা-কলকাতা যোগাযোগে একটার পর একটা ফ্লাইট। বোর্ডিং পাস নেওয়ার লম্বা লাইন এয়ার পোর্টের কাউন্টারে। এয়ারক্রাফ্ট ভর্তি যাত্রী। ডেলি প্যাসেঞ্জার কম নয়। সকালে এসে বিকেলে ফিরে যাওয়া। কেনাকাটায় পণ্যের পাহাড়। শাড়ির পর শাড়ি। বাক্স প্যাঁটরা উপচোচ্ছে। এক্সট্রা লাগেজের মাশুল গোনা ছাড়া উপায় কী। ঢাকায় গেলে মেয়েদের ঝোঁক ঢাকাই জামদানি, মসলিনের উপর। কলকাতায় এলে ঢাকুরিয়ার দক্ষিণাপন থেকে গড়িয়াহাট, পার্কস্ট্রিট, নিউমার্কেটে যত শাড়ির দোকান সব তুলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে।
আকাশ যাত্রীরা আশ মিটিয়ে বাজার করতে পারে। ঘুরতে ফিরতেও পকেট টান পড়ে না। মাটির মানুষদের হিসেবের কড়ি মেপে চলতে হয়। কমবেশি হলে বিপদ। ট্রেনে-বাসে যাতায়াতটা চমৎকার। নদী গাছপালা আলো বাতাসে মিশে আসা-যাওয়া। আকাশ থেকে বিশাল পদ্মাও দড়ির মত সরু। বার্জে সেই নদী পেরোতে প্রবল ঢেউয়ে উথাল পাথাল। ঝিক ঝিক করে ট্রেন যখন যমুনা পেরোয়, মনে হয় এর চেয়ে সুন্দর নদী আর পৃথিবীতে নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকার অন্য ভাস্কর্য সরবে না, আশ্বাস