Advertisement
E-Paper

নির্বাচনের আগে উত্তেজনা ঢাকায়, পুলিশ পেটাল বিএনপি কর্মীরা

পুরনো পল্টনে বিএনপির দফতরের সামনে উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুড়তে হয় পুলিশকে। বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৯
তাণ্ডব: বিএনপি দফতরের সামনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করছে দলীয় কর্মীরা। বুধবার ঢাকায়। ছবি: রয়টার্স।

তাণ্ডব: বিএনপি দফতরের সামনে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করছে দলীয় কর্মীরা। বুধবার ঢাকায়। ছবি: রয়টার্স।

নির্বাচনের ঢাকা এ বার সরগরম হয়ে উঠল বিরোধী দলের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে।

পুরনো পল্টনে বিএনপির দফতরের সামনে উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুড়তে হয় পুলিশকে। বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়। ভাঙচুর করে রাস্তায় আটকে পড়া বহু গাড়ি ও মোটর সাইকেল। সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলার পরে বিএনপি-র মহাসচিব হুঁশিয়ারি দিয়েছেন— সরকার ও কমিশনের আচরণের ওপর তাঁদের নির্বাচনে থাকা না-থাকা নির্ভর করছে। পাশাপাশি পুলিশ দাবি করেছে, বিনা প্ররোচনায় তাঁদের আক্রমণ করেছে বিএনপি কর্মীরা।

ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘নির্বাচন বানচালের অজুহাত তৈরি করতেই বিএনপি এই সন্ত্রাস চালিয়েছে। পুলিশকে আক্রমণ করেছে, যথেচ্ছ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আদতে যে তারা জঙ্গি-সংগঠন, এ দিন ফের দেখিয়ে দিল বিএনপি।’’

কর্মীদের চাপে বিএনপি নেতৃত্ব রবিবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা করতে বাধ্য হন। পর দিন থেকে মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনতে দলের দফতরে হাজার হাজার কর্মীরা জড়ো হলে সামনের রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বিএনপি নেতৃত্বকে সতর্ক করে দেয়। বুধবার রাস্তা জুড়ে মিছিল নিয়ে এক নেতা দলের দফতর থেকে মনোনয়নের আবেদন কিনতে এলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেয়ে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। সাধারণ যানবাহনও ভাঙচুর করে। তার পরে পুলিশের গোটা তিনেক গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

এর পরে পুলিশের বড় একটি দল এসে দাঙ্গাকারী বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠি চালায়। কর্মীরা পাল্টা হামলা করলে কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের অভিযোগ, হাওয়া গরম করতে বিনা প্ররোচনায় পুলিশকে আক্রমণ করেছে বিএনপি কর্মীরা। দেদার গুন্ডামি করেছে। অন্তত ১৩ জন পুলিশ জখম হয়েছেন।

আবার বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ‘উৎসবের মেজাজ’ নষ্ট করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকার মিলে কর্মীদের ওপর লাঠি-গুলি চালিয়েছে। বহু বিএনপি কর্মী এতে আহত হয়েছেন। রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ফের তাঁরা নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তে ফিরতে পারেন। ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচনের ঘোষণা হলেও বিএনপি-জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ জানুয়ারির মাঝামাঝি ভোটের দাবি জানিয়েছে। তা নিয়ে সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন ফখরুল ও জোটের অন্য নেতারা। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান কামাল হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করলেও

বিএনপির মহাসচিব জানিয়েছেন, তাঁর সংশয় কাটেনি।

Protest Rampage BNP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy