Advertisement
E-Paper

পানগাঁও বন্দর নব দিগন্ত খুলল ভারত-বাংলাদেশ পণ্য পরিবহণে

অন্দরমহলে অনেক কথা। বন্দরের অবস্থা যে কে সেই। অবহেলায় পড়ে আছে তো আছেই। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে নির্মাণ। তার পরেও পনেরো বছর ধরে ফেলে রাখার মানেটা কী। টাকাটা কি তবে জলে গেল। কোনও ফলই ফলল না। সুবর্ণ সুযোগের পরিণতি স্রেফ শূন্য।

অমিত বসু

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ১৫:১২
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

অন্দরমহলে অনেক কথা। বন্দরের অবস্থা যে কে সেই। অবহেলায় পড়ে আছে তো আছেই। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে নির্মাণ। তার পরেও পনেরো বছর ধরে ফেলে রাখার মানেটা কী। টাকাটা কি তবে জলে গেল। কোনও ফলই ফলল না। সুবর্ণ সুযোগের পরিণতি স্রেফ শূন্য। থেমে থাকা, বসে যাওয়া কোনও কিছুই নজর এড়ায় না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর ধাক্কায় জগদ্দল পাথরও গড়াতে বাধ্য। কেরানীগঞ্জের পানগাঁও বন্দর জাগল হাসিনার জাদুকাঠির স্পর্শে। বিদেশি জাহাজ হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। চেনা বন্দরে নোঙর করার আর কোনও বাধা রইল না। এত দিন পাশ দিয়ে চলে যেতে হয়েছে। দাঁড়ানোর জায়গা হয়নি। নোঙর করতে চাইলেই সাফ কথা, এখানে নয়, অন্য কোথাও, অন্য কোনওখানে যাও। স্রোতের টানে ভেসে গিয়ে সেই মংলা বা চট্টগ্রাম বন্দরের খোঁজ।

আরও পড়ুন

প্রতিরক্ষায় ঢাকাকে ঋণ দিতে চায় দিল্লি

সব থেকে বেশি চাপ চট্টগ্রামে। বিদেশি জাহাজ মাত্রেই জানে, জলপথে বাংলাদেশের ঠিকানা চট্টগ্রাম। সোজা নিয়ে সেখানে নোঙর করলে নিশ্চিন্ত। বার্থ খালি না থাকায় প্রতীক্ষার প্রহর গুনতে হয়। সেটা বড় কম সময় নয়। খালাসের সময় বাড়লে খরচও বাড়ে। বেশি দেরি হলে খেসারত বেশি। সেটাই যে দস্তুর। মংলা বন্দর চালু হওয়ার পর ভার কিছুটা লাঘব হলেও সে আর কতটা। মংলা বন্দরের আধুনিকীকরণের কাজ অনেকটাই বাকি। সমকালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংস্কার করতে খরচ আছে। ভারত বিনিয়োগে রাজি। সব কাজই সময় সাপেক্ষ। আশার কথা এটাই, মংলা থেমে নেই। চলছে নিজের চালে। দূর দূরান্তর থেকে বিদেশি জাহাজ এসে নোঙর করছে। পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ দিবারাত্র। কাজ পেয়ে বন্দর শ্রমিকরা খুশি। বন্দর জুড়ে ট্রাকের লম্বা লাইন। চলমানতায় গতি বৃদ্ধি। আমদানি-রফতানির নতুন ছন্দ। মংলা যে চলবে কেউ কল্পনাও করেনি। বার্ধক্যের যন্ত্রণায় জবুথবু হয়ে পড়ে থাকাটাই ছিল ভবিতব্য। এ বার রংয়ের জোয়ারে বসন্ত বরণ। বন্ধুর ডাক বিদেশি জাহাজকে। মংলার পরেই পায়রা। হাসিনার দেওয়া নাম। শান্তির পারাবত। অর্থনীতির নতুন পালক। পণ্য আনা নেওয়ার বন্দর। ধীরে ধীরে আধুনিক হযে উঠছে। যাতে কাজ চলে দ্রুত। অযথা সময় নষ্ট না হয়। বিদেশি বিনিয়োগে বিবর্তন। সহযোগী ভারতও।

বসন্তে মাথা তুলল আরও এক বন্দর পানগাঁও। কলকাতা থেকে সোনারতরী সার্ভিসের জাহাজ পণ্য নিয়ে সোজা গিয়ে নোঙর করল পানগাঁওয়ে। স্থানীয়রা বিস্ময়ে হতবাক। কোনও দিন তো আসেনি, হঠাৎ এল কী করে। ভরাট জাহাজ। ৬৫টি কন্টেনার। রয়েছে ফেব্রিক্স, টেক্সটাইল, স্যান্ডেল, সাইকেলের যন্ত্রাংশ।

পণ্য ফেলে রাখা যায় না। ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালাসের কাজ শুরু। খালাসিদের উৎসাহের শেষ নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ঘোষণা, ভারত বাংলাদেশের নিকটতম বন্ধু রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান ভারতের সঙ্গে প্রথম নৌ, স্থল, আকাশপথে পণ্য পরিবহনের চুক্তি করেছিলেন। শেখ হাসিনার হাতে তারই রূপায়ণ। কলকাতার খুব কাছে পানগাঁও। যাতয়াতে সময় কম, খরচ কম। পণ্য পরিবহণ আরও বাড়বে। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সিংহদুয়ার উন্মুক্ত হবে।

Pangaon Inland Container Terminal Pangaon Port India-Bangladesh Trade India-Bangladesh Freight Transport
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy