Advertisement
১৮ মে ২০২৪
bangladesh

ঢাকার উত্তরা মামলায় হিযবুত তাহরির নেতা কর্মীদের বিচার শুরু

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় হিযবুত তাহরিরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করল আদালত।

 হিযবুত তাহরিরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন।

হিযবুত তাহরিরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:৫২
Share: Save:

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় হিযবুত তাহরিরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিন-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করল আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন। আগামী ২৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য করেছেন তিনি।

মহিউদ্দিন আহমেদ বাদে অন্য আসামিরা হলেন সাইদুর রহমান ওরফে রাজীব, কাজি মোরশেদুল হক ওরফে প্লাবন, এমএ ইউসুফ, তানভির আহমেদ ও তৌহিদুল আলম চঞ্চল।

অভিযোগ গঠনের সময় জামিনে থাকা চার আসামি অধ্যাপক মহিউদ্দিন, তানভির আহমেদ, সাইদুর রহমান ও আবু ইউসুফ আলি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তৌহিদুল আলম ও কাজি মোরশেদুল হক প্লাবন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

একই মামলায় গত ২১ এপ্রিল সংগঠনটির সেকেন্ড ইন কমান্ড সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কাজি মোরশেদুল হককে মহম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: এ বার দুর্গা মা নতুন রূপে আনন্দ উৎসবে

এ বার সবচেয়ে বড় দুর্গা নোয়াখালিতে

২০১০ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার উত্তরা থানার তিন নম্বর সেক্টরের দুই নম্বর রোডের তাকওয়া মসজিদের সামনে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরিরের সদস্যরা সরকার বিরোধী লিফলেট ও পোস্টার বিলি করে এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে সেখানে পেট্রোল বোমা নিয়ে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় তানভির আহমেদ, সাইদুর রহমান রাজীব এবং তৌহিদুল আলমকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানায়, দলের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিনের প্ররোচনাতেই সেখানে উপস্থিত ছিল তারা। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর পরে এসআই মহঃ আরমান আলি বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মহঃ নুরুল আমিন ছয় আসামিকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোপত্র দাখিল করেছিলেন।

সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিযবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Uttara Case hizbut tahrir
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE