Advertisement
E-Paper

দু’বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ১৪২ তলা অট্টালিকা, পাকিস্তান ‘জ্বলছে’

গোলাভরা ধান, গোয়ালে দুধেল গাই, পুকুর ভর্তি মাছেই ছন্দে ফিরতেন গ্রামবাসীরা। স্বচ্ছলতার সুখ পৌঁছত কৃষকের ঘরেও। আকাল এলে গোলমাল বাঁধত। হাহাকারের অন্ধকার। সে দিন গেছে। গ্রাম বাঁধা পড়েছে শহরে। মান্ধাতার আমলের অর্থনীতি উন্নয়নের প্রশস্ত রাজপথ খুঁজছে। উন্নততর জীবনের হাতছানি।

অমিত বসু

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ২১:১২
চলছে নির্মাণের কাজ। ছবি: গেটি ইমেজেস।

চলছে নির্মাণের কাজ। ছবি: গেটি ইমেজেস।

গোলাভরা ধান, গোয়ালে দুধেল গাই, পুকুর ভর্তি মাছেই ছন্দে ফিরতেন গ্রামবাসীরা। স্বচ্ছলতার সুখ পৌঁছত কৃষকের ঘরেও। আকাল এলে গোলমাল বাঁধত। হাহাকারের অন্ধকার। সে দিন গেছে। গ্রাম বাঁধা পড়েছে শহরে। মান্ধাতার আমলের অর্থনীতি উন্নয়নের প্রশস্ত রাজপথ খুঁজছে। উন্নততর জীবনের হাতছানি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যটা স্পষ্ট। বাজেটে তার ছাপ। দেদার ছাড় দিয়ে রাজকোষ খালি করে হাততালি কুড়োন নয়। আপসে মন ভোলানো খুশি নয়। দূরের যাত্রায় দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া। প্রতি বছরেই তার ফল ফলবে। মুগ্ধ দেশবাসী নিজেদেরই চিনতে পারবে না। ভাববে এটা সেই বাংলাদেশ, না অন্য কোনও আনন্দলোক। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তার পরের ধাপে ধাপে উন্নত দেশের শরিক হওয়া। তার প্রতীকী আঁচড় এবারের বাজেটে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘোষণা, দু’বছরেই বাংলাদেশে মাথা তুলবে আকাশ ছোঁয়া ১৪২ তলা অট্টালিকা। যা সার্কের অন্য কোথাও নেই। সুখবর ছড়াতে সময় লাগে না। পৌঁছেছে ইসলামাবাদে। পাকিস্তান বিশ্বাস করতে পারছে কই! দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে। ভাবছে, তাহলে সত্যিই কী বাংলাদেশকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।

শুধু ঢাকায় কুলোচ্ছে না। দরকার আরও একটা মহাসাগরের। পূর্বাঞ্চলে হবে সেটা। পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু আর শেষ সময় ধরে। হচ্ছে, হবে বলে কোনও প্রকল্পই ফেলে রাখা যাবে না। আন্তর্জাতিক কনভেশন সেন্টারের সঙ্গে আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের ব্লুপ্রিন্ট পাকা। কনভেনশন সেন্টারে পাঁচ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা হবে। এ সব লোক দেখানো নয়। কর্মসংস্থান, ব্যবসাবাণিজ্য প্রসারের খাতিরে। খেলাধুলোর সব শাখাতেই যাতে শিশু, কিশোর, যুবারা ছড়িয়ে পড়ে সে দিকে নজর। ক্রিকেট অনেকটা এগিয়েছে। এখন বিশ্বের প্রথম সারিতে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেছে। তুলনায় অন্য খেলাতেও আগ্রহ বাড়াতে হবে। বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল। সেখানে পিছিয়ে থাকলে চলে কী করে।

উন্নয়ন ছেলেখেলা নয়। শক্ত ভিত দরকার। ৬৪ জেলা, ৪৮৫ উপজেলা ঘিরে নিখুঁত ডিজিটাল যোগাযোগ। অনলাইন কার্যক্রম এখন সব জায়গায়। অনলাইনে ছ’মাসে লেনদেন ২,৫৭৩ কোটি। মোবাইল গ্রাহক ১৩.০২ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহার ৫.৪৭০ কোটি। টেলিডেনসিটি ৮৩.০৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ডেনসিটি ৩৪.৪০ শতাংশ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই। সিম-রিম রেজিস্ট্রেশনের কাজ পুরোদমে। রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটারি কমিশন। ১৩৭৯.৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ডাক বিভাগ মোবাইল মানি অর্ডার সার্ভিস, ক্যাশ কার্ড চালু করেছে। ৩,৫০০ ডাক ঘরে পোস্টাল ই-সেন্টার চালু। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা শহরে ১ লাখ ডিজিটাল টেলিফোন লাইন। নতুন হয়েছে আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার। ৯৮টি উপজেলার ১০০৬টি ইউনিয়নে ৪,৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার বসানো গেছে। ৩০০টি ইউনিয়নকে অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। টেলিটক ৩-জি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭টি বিভাগ। ৬৪ জেলা শহরে ৩-জি চালু দ্রুতলয়ে। এর কৃতিত্ব অনেকটাই হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের। বাংলাদেশ সী-মী-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতিস্থাপন-সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৬২৫ টাকা মেগাওয়াট। তার পরেও কি গ্রাম শহর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা থাকে।

construction workers bangladeh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy