নগরজীবনের ক্লান্তিকর ছন্দে যখন সম্পর্ক ফিকে হয়ে যায়, আত্মার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন লাগে—তখনই রবীন্দ্রনাথ আমাদের ফেরায় নিজের ভেতরের মানুষটার কাছে। শান্তি, সৌন্দর্য, প্রশ্ন আর প্রতিবাদ—এই চারটি স্তম্ভেই দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রসাহিত্য। আর আজকের প্রজন্মের কাছেও তাঁর লেখা হয়ে উঠছে এক নতুন পাঠ—যেখানে ব্যক্তিগত সংকট, সমষ্টিগত চেতনা ও সাংস্কৃতিক বোধ সব কিছু একসঙ্গে জায়গা পায়।
এই আবেগ, এই ভাবনাকেই কেন্দ্র করে ‘সহায় ফাউন্ডেশন’-এর নিবেদন—‘রবীন্দ্রোৎসব’, আগামী ২৯ জুন রবীন্দ্রসদনে, সন্ধ্যা ৫:৩০টা থেকে। ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে যুক্ত ‘বেঙ্গল ওয়েব সলিউশন’ এবং ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার ‘আনন্দবাজার ডট কম’।
অনুষ্ঠানটি দু’টি ভাগে বিভক্ত:
প্রথম পর্ব: ‘প্রাণের মানুষ’ — যেখানে রবীন্দ্রনাথের কথা ও গল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠবে আত্মার সংলাপ।
দ্বিতীয় পর্ব: ‘পরিবর্তন প্রবর্তন’ — নাটক ও নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে সমাজ-চেতনা ও আত্মজাগরণের রূপ।
প্রথম পর্বে প্রখ্যাত শিল্পী প্রমিতা মল্লিক, পূর্ণিমা ঘোষ, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশ্বতী গুহ ঠাকুরতা ও উপালী চট্টোপাধ্যায়—তাঁদের কণ্ঠ ও কথনে নতুন আলোয় ধরা দেবে চিরচেনা রবীন্দ্রনাথ। শ্রোতাদের হৃদয়ে অনুরণিত হবে কবিগুরুর প্রতি ভালবাসা, বেদনা ও আত্মিক বন্ধনের সুর।
পাশাপাশি, দ্বিতীয় পর্বে থাকছে নাটক ‘পরিবর্তন প্রবর্তন’। ‘পরিবর্তন প্রবর্তন’ একটি থিয়েটার প্রোডাকশন। রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য,নাটকের নির্বাচিত অংশের সমন্বয় এই নাটকটি নির্মিত। রবীন্দ্রনাথ বারবার জীর্ণ পুরাতনকে ভাসিয়ে দিতে চেয়েছেন নুতনের প্রতিষ্ঠায়। পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যার প্রবর্তন হয় তা উন্নয়নের তথা উত্তরণের নামান্তর। এই নাটক সেই উত্তরণের গল্প বলে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রাঙ্গদা, বাল্মিকী প্রতিভা, চণ্ডালিকা, রক্তকরবীর প্রসঙ্গ এবং মঞ্চে সেই অংশগুলি নাচ, গান এবং অভিনয়ের মাধ্যমে পরিবেশিত হবে। এই নৃত্যনাট্য ইত্যাদির অনুষঙ্গে নিজেদেরও পরস্পরকে আরও ভালভাবে মূল্যায়ণ ও নিজেকে চিনতে পারা যায়। নাটকটিতে লাইভ মিউজ়িকে সব ক’টি গান ও কোরিয়োগ্রাফি পরিবেশিত হবে। প্রায় ৩০ জন শিল্পী কাজ করবেন এই নাটকটিতে। মূল চরিত্রে থাকবেন মৌনীতা চট্টোপাধ্যায় এবং সৃজন চট্টোপাধ্যায়।
এই অনুষ্ঠান শুধুই অতীতের শ্রদ্ধার্ঘ্য নয়, বরং বর্তমান সময়ের সঙ্গে রবীন্দ্রচিন্তার এক সক্রিয় সংলাপ। যেখানে দর্শকরা খুঁজে পাবে সমাজ, রাজনীতি, সম্পর্ক আর অস্তিত্বের নানা পরত—রবীন্দ্রনাথের দর্শনের আয়নায়। ‘রবীন্দ্রোৎসব’ একটি সেতু—যা অতীত থেকে বর্তমান, চিন্তা থেকে অনুভব, সংস্কৃতি থেকে মানুষকে সংযুক্ত করবে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়।
সহায় ফাউন্ডেশনের সঙ্গে রবীন্দ্রময় এই সুন্দর সন্ধ্যার সাক্ষী থাকতে আপনিও। অনুষ্ঠানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে অফলাইন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলিতেও।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘বেঙ্গল ওয়েব সলিউশন’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।