সদ্য প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক হয়েছে পরীক্ষার ফলাফল। বর্তমানে, রাজ্যের বহু শিক্ষার্থী উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সন্ধানে এক নতুন অধ্যায়ে পা রাখতে চলেছে, খুঁজছে উপযুক্ত কেরিয়ারের পথ। এই প্রেক্ষিতে, সম্প্রতি চাকরির বাজারে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও বাস্তবমুখী বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বেকারত্বের সমস্যা মেটাতে ভারত সরকারের নতুন শিক্ষা নীতিতে ‘এনইপি’-কে (NEP) বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৃত্তিমূলক শিক্ষায়, যা ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান ও আত্মনির্ভরতার পথে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে পারে। তাই ‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ এখন শুধুই একটি পেশা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী কেরিয়ারের দরজা খুলে দেওয়ার মতো একটি দৃষ্টিভঙ্গি।
‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ আজকের দিনে ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যটনের দ্রুত বিকাশের ফলে হস্পিট্যালিটি বিভাগে ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটছে, যা প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলছে কর্মসংস্থানের পরিসরে। এই শিল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা শুধু হোটেল বা রেস্টুরেন্টেই কাজের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নন—তাঁরা সফলভাবে কাজ করছেন হাসপাতাল, ‘রেলওয়ে ক্যাটারিং’, ‘এভিয়েশন’, ‘ক্রুজ় লাইন’, ‘ফুড রিটেল ও প্রসেসিং’ এবং ‘ব্যাঙ্কিং ও ইন্স্যুরেন্স’ বিভাগের মতো বহু বৈচিত্র্যময় ক্ষেত্রগুলিতেও।
বর্তমানে ভারতে ‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ শুধু পরিষেবা ভিত্তিক নয়, এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বহুমাত্রিক ও আন্তর্জাতিক মানের কেরিয়ারের সম্ভাবনাও তৈরি করে দিচ্ছে। ভারতের পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্প গত কয়েক বছরে যে ভাবে দ্রুত বিকশিত হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের জন্য দেশ-বিদেশে চাকরির নতুন সুযোগ খুলে দিয়েছে। আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের মতো আন্তর্জাতিক গন্তব্যেও এই খাতের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পেশাজীবীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই শুধু চাকরিই নয়, হস্পিট্যালিটি শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেরাও হয়ে উঠতে পারেন সফল উদ্যোক্তা—গড়ে তুলতে পারেন নিজস্ব বেকারি, রেস্টুরেন্ট, হোটেল কিংবা ‘ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ কোম্পানি। এই প্রশিক্ষণ শুধু একটি চাকরিমুখী কোর্স নয়, বরং এটি ব্যবসায়িক সক্ষমতা গড়ে তোলার এক বাস্তব ও শক্তিশালী ভিত্তি।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ কলেজের মধ্যে ‘আইএএম’ (IAM) হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজ একটি অগ্রণী নাম। এটি রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন ও ‘এআইসিটিই’ দ্বারা স্বীকৃত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যেখান থেকে প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী সাফল্যের সঙ্গে হস্পিট্যালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে পেশাগত জীবন শুরু করেন।
এই কলেজের পাঠ্যক্রম শুধু হোটেল বা রেস্টুরেন্টেই কাজের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘ফিন্যান্স’, ‘মার্কেটিং’, ‘হিউম্যান রিসোর্স’-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যানেজমেন্ট বিষয়গুলিও। আধুনিক চাকরির বাজারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কোর্সে সংযোজন করা হয়েছে ‘ডিজিটাল মার্কেটিং’, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ (AI), ‘ডিজিটাল টুলস্’ ও ‘গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডস্’—যা শিক্ষার্থীদের করে তুলছে যুগোপযোগী, প্রতিযোগিতামূলক এবং আন্তর্জাতিকভাবে দক্ষ। এই ভাবধারার ফলেই ‘আইএএম কলেজ’ হয়ে উঠেছে হস্পিট্যালিটি শিক্ষার ক্ষেত্রে এক বিশ্বস্ত ও শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ শুধু প্রযুক্তিগত বা পেশাগত প্রশিক্ষণ নয়—এটি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব গঠনের একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। এই শিক্ষার মাধ্যমে গড়ে ওঠে সময়নিষ্ঠা, সৌজন্য, শৃঙ্খলা, দৃঢ়তা ও নম্রতা—যা পেশাগত জীবনের পাশাপাশি সামাজিক জীবনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা ও মানসিক নমনীয়তা, যা আজকের বৈচিত্র্যময় কর্মক্ষেত্রে অপরিহার্য।
এই সৃজনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার সমন্বয়ে শিক্ষার্থীরা পান এক শক্তিশালী ও পরিপূর্ণ পেশাগত ভিত্তি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বমানের হস্পিট্যালিটি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হন—দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হয়ে ওঠেন ভবিষ্যতের সফল প্রতিনিধি। তাই ‘হস্পিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ শুধুই একটি কোর্স নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বহুমাত্রিক ও আন্তর্জাতিক মানের কেরিয়ারের সম্ভাবনা তৈরির সুবর্ণ সুযোগ।
বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://zoomuniverse.com/hotel_management/landingpage.php
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘আইএএম ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট’-এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।