বর্তমানে শিক্ষার্থীরা গতানুগতিক পাঠ্যক্রমের বাইরে বেরিয়ে চাকরিমুখী বিভিন্ন কোর্সের নিয়ে পড়াশুনো করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছে, যাতে কম সময়ে এই প্রতিযোগিতামূলক কাজের বাজারে চাকরি পাওয়া সম্ভব হয়। এই চাকরিমুখী কোর্সের মধ্যে ‘হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’-এর চাহিদা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’-র ‘ডিপার্টমেন্ট অফ হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম’ বর্তমানে এক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান, যা শিক্ষার্থীদের অতিথেয়তা শিক্ষার মাধ্যমে একটি সৎ, দক্ষ ও ন্যায়বদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে চলেছে।
অতিথেয়তা শিক্ষার বিভিন্ন শাখাকে ঘিরে গঠিত এই পাঠক্রমের মূল ভিত্তি হল আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, গুণগত মান এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। এই অভিনব প্রোগ্রামের ব্যাপারে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম বিভাগের সহ পরিচালক রাহুল চৌধুরী জানিয়েছেন, “সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ‘হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’-এর এক অভিনব প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছে, ‘ওয়ার্ক ইন্টিগ্রেটেড লার্নিং প্রোগ্রাম ইন হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’।”
এই প্রোগ্রাম চলাকালীন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশি বিদেশী বিলাসবহুল হোটেলে প্রশিক্ষণ করার সুযোগ পাবে। উচ্চমাধ্যমিকের পর শিক্ষার্থীরা চার বছরের এই কোর্সটি করতে পারবে। চার বছরের এই প্রোগ্রামের শেষে শিক্ষার্থীরা ‘বি.বি.এ (অনার্স) হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ ডিগ্রী পাবে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিলাসবহুল হোটেলের ‘মৌ’ স্বাক্ষর হয়েছে, যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের হোটেলে প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের পর ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ করে দেবে। ‘বি.বি.এ (অনার্স) হসপিট্যালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ প্রোগ্রামটি শেষ করার পর বা অনেক সময়েই এই কোর্সের শেষ সেমিস্টারেও শিক্ষার্থীরা চাকরি পেয়ে যায়। এই প্রোগ্রামের পর যে যে বিভাগে শিক্ষার্থীরা চাকরি পেতে পারে, সেগুলি হল—
- রন্ধনশিল্পী
- হোটেল ম্যানেজার
- ইভেন্ট ম্যানেজার
- গেস্ট রিলেশন
- ক্লাইন্ট রিলেশন,
- ক্যাটারিং ম্যানেজার
- অ্যাকমোডেশন ম্যানেজার
এই বিষয়গুলি ছাড়াও আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ‘হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট’ প্রোগ্রামটি সম্পূর্ণ করার পর শিক্ষার্থীরা ভারতের বাইরে নানা হোটেলেও আবেদন করে চাকরি পেতে পারেন। এ ছাড়াও, এই কোর্সের পরে জাহাজেও চাকরি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীর। সর্বোপরি এটি একটি বহু-বিভাগীয় ক্ষেত্র, যা খাদ্য, বাসস্থান এবং পর্যটন শিল্পে পরিচালনার পদের জন্য শিক্ষার্থীদের যথাযোগ্যভাবে প্রস্তুত করে তোলে।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।