মাঝরাতে সংসদের সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে জিএসটি চালু হতে চলেছে। তাতে শাসক দলের সাংসদদের তো থাকতেই হবে, কারণ অঘোষিত হুইপ রয়েছে তাঁদের জন্য। কিন্তু সেন্ট্রাল হল ভরাতে বিরোধী সাংসদদেরও চাই। আর তাই আজ অনুষ্ঠানের দিনে উভয় কক্ষের সাংসদদের দিল্লিতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে একসঙ্গে ২৩টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল, যা একেবারেই নজিরবিহীন। সংতরাং রাতের অনুষ্ঠানের আগেই দিনভর সরগরম রইল সংসদ।
মধ্যরাত্রির অনুষ্ঠানে উভয় শিবিরের সাংসদেরা যাতে থাকেন তার জন্য মোদী সরকার এই কৌশল নিয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন। তবে শুধু আজই নয়, গত কাল থেকেই শুরু হয়েছে এই বৈঠকের পর্ব। কাল ছিল বিভিন্ন মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠক। আর আজ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক। শাসক দলের এক নেতার কথায়, ‘‘সরকার অবশ্যই চায় যত বেশি সম্ভব সাংসদ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকুন।’’
জিএসটি চালুর মাত্র ঘণ্টা দু’য়েক আগে সারের ওপর কর ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হল। কৃষকদের সুরাহা দিতে ট্রাক্টরের কিছু যন্ত্রাংশের ওপর করও ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করল জিএসটি পরিষদ। এক রকম আনুষ্ঠানিকতার জন্যই শুক্রবার রাতে জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পরিষদের সদস্যদের নৈশভোজে আপ্যায়িত করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সে বৈঠকেই কৃষকদের স্বার্থরক্ষার জন্য দু’টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন: আরও কমলো স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy