দু’বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে পা রাখার পরিকল্পনা করেছিল কানপুর ও চেন্নাইয়ের চর্মশিল্প। মঙ্গলবার বানতলা চর্মনগরীতে ওই দুই শহরের ১৩টি এবং রাজ্যের ১২টি সংস্থার হাতে জমি তুলে দিল সরকার। শিল্প মহলের দাবি, ২৫টি সংস্থায় ১,০০০ কোটি টাকার বেশি লগ্নি হবে।
সরকারি নানা নিষেধাজ্ঞায় উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে কাঁচামালের অভাবে সঙ্কটে পড়েছিল ট্যানারিগুলি। তাই ২০১৭ সালে রাজ্যে লগ্নিতে আগ্রহ দেখায় তারা।
বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে কানপুর, চেন্নাই ও কলকাতার তিনটি বড় ট্যানারিকে বানতলায় জমি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন আরও ২৫টি বড় সংস্থাকে জমির ‘অফার লেটার’ দেন অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলামন্ত্রী জাভেদ খান, শিল্প সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থা এমএল ডালমিয়ার পক্ষ থেকে বৈশালী ডালমিয়া প্রমুখ।
সরকারি সূত্রের খবর, বানতলায় ৭০ একরে ট্যানারির পাশাপাশি ১০০ একর জমি দেওয়া হবে চর্মজাত পণ্য নির্মাতাদের। ৬০ একরে হবে জুতোর পার্ক। সেখানকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি রাজারহাটে গেলে আরও প্রায় ১৩০ একর জমি মিলবে।
এখন বানতলায় ২০২ একর জমিতে ৩৩২টি কারখানা ও ৪০টি চর্মজাত পণ্যের সংস্থা রয়েছে। অমিতবাবুর দাবি, ব্যবসা হয় ১৩,৫০০ কোটি টাকার। কর্মী প্রায় ২.৫ লক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘শিল্পমহল জানিয়েছে, লগ্নি প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কয়েক বছরে ব্যবসা ছোঁবে প্রায় ২৭ হাজার কোটি। আরও অন্তত পাঁচ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি হবে।’’
ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রমেশ জুনেজার দাবি, আগ্রহী সংস্থাগুলি জমি পেলে আরও প্রায় ৫,০০০ কোটি লগ্নি আসবে।
বানতলায় লগ্নির সহায়ক পরিবেশ গড়তে ‘কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’-সহ নানা পরিকাঠামো খাতে ৫৪০ কোটি খরচ করছে রাজ্য। অমিতবাবুর দাবি, এর মধ্যে দূষণ প্রতিরোধ-সহ বহু পরিকাঠামোই বিশ্বমানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy