আচমকা রাজ্য সরকার শিল্পে সব রকম উৎসাহ ছাড় দেওয়ার নীতি (ইনসেনটিভ পলিসি) প্রত্যাহার করায়, থতমত খেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরে ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমি-র দাবি, তা রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেশির ভাগ ছোট সংস্থাই সমস্যায় পড়বে। বিশেষত যারা রাজ্যের ছাড়ের উপর অত্যধিক নির্ভরশীল। তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানো কঠিন হয়ে পড়তে পারে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন ফসমির সভাপতি বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য।
সব রাজ্যই লগ্নি টানতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ ছাড়-সহ নানা রকম আর্থিক সুবিধা দেয়। এ রাজ্যও ব্যতিক্রম নয়। তাতে আর্থিক সুবিধা ছাড়াও ভর্তুকি, সুদ-কর-ডিউটি ছাড় সমেত শিল্পে উৎসাহ দেওয়ার নানা প্রকল্প থাকে। কিন্তু এ রাজ্যের শিল্প সংস্থাগুলি যে তার কিছুই আর দাবি করতে পারবে না, তা জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। এমনকি, অতীতের বকেয়া কিছু থাকলে, তা-ও যে শিল্প মহলের দাবির আওতায় আসবে না, আইন করে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ চিঠিতে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, মূলত রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির কথা মাথায় রেখে শিল্পে উৎসাহ ছাড় নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসুক রাজ্য। তার পরে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক। তাঁর দাবি, হঠাৎ করে এই সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে রাজ্যের বেশির ভাগ ছোট সংস্থার ব্যবসায় টিকে থাকাই মুশকিল হবে। সরকারের সহায়তার উপর নির্ভর করে যখন কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বহু ছোট সংস্থা, ঠিক তখনই এই সিদ্ধান্ত তাদের নতুন করে খাদের মুখে ঠেলে দিল বলে দাবি তাঁর।
একই সঙ্গে এ ভাবে সব রকম সহায়তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত শিল্পের আত্মবিশ্বাসে বড় আঘাত করবে বলেও মনে করেন বিশ্বনাথ। ফসমি-র সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি বদল করে ছোট সংস্থাগুলির আত্মবিশ্বাস ফেরাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক রাজ্য সরকার। তাতে আখেরে রাজ্যই লাভবান হবে। গতি আসবে শিল্পায়নে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)