E-Paper

করদাতাদের সতর্ক করে রিটার্ন স্ক্রুটিনির বিজ্ঞপ্তি

আয়কর দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও করদাতার আয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়লে হিসাববর্ষের ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনের ১৪৩(২) ধারায় ওই ব্যক্তির কাছে নোটিস পাঠাতে হবে অফিসারদের।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ০৬:২৩
An image of Tax

কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন কিংবা কর ফাঁকি সংক্রান্ত নথির ফের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা হবে, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করল আয়কর দফতর। প্রতীকী চিত্র।

গত কয়েকটি অর্থবর্ষে ভারতে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। কেন্দ্রের দাবি, কর ফাঁকি রুখে দিয়ে আদায়ের পরিসর বাড়ানোর সুফল পেতে শুরু করেছে সরকার। এ বার কোন কোন ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন কিংবা কর ফাঁকি সংক্রান্ত নথির ফের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা (স্ক্রুটিনি) হবে, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করল আয়কর দফতর। জানাল, যে সমস্ত ক্ষেত্রে করদাতা দফতরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তির (নোটিস) উত্তর দিতে ব্যর্থ হবেন, সেখানেই তাঁকে স্ক্রুটিনির মুখোমুখি হতে হবে। এ ছাড়া, কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পাঠানো নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেও তা হতে পারে।

আয়কর দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও করদাতার আয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়লে হিসাববর্ষের (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আইনের ১৪৩(২) ধারায় ওই ব্যক্তির কাছে নোটিস পাঠাতে হবে অফিসারদের। তার ভিত্তিতে ওই করদাতাকে প্রয়োজনীয় নথি দাখিল করতে হবে। সেটা করতে তিনি ব্যর্থ হলে রিটার্নের আরও চুলচেরা পরীক্ষা হবে। আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখাহবে নথি।

পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আয়কর আইনের ১৪২(১) ধারা আয়কর কর্তৃপক্ষকে করদাতার থেকে রিটার্ন সংক্রান্ত বাড়তি তথ্য ও নথি চাওয়ার অধিকার দিয়েছে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল হয়নি, সেই ক্ষেত্রেও তথ্য তলব করতে পারেন অফিসারেরা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই সমস্ত ঘটনায় যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে ন্যাশনাল ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে। সেখান থেকেই স্ক্রুটিনির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। যে সমস্ত ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা প্রত্যাখ্যাত হওয়া সত্ত্বেও করদাতা তাঁর দাবি বহাল রেখেছেন, তার তালিকাও তৈরি করবে আয়কর দফতর। চেয়ে পাঠানো হবে প্রয়োজনীয় নথি।

সম্প্রতি জিএসটি রিটার্নের স্ক্রুটিনির জন্যও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি)। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন রিটার্ন ফের পরীক্ষার জন্য বাছা হবে তা ঠিক হবে তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থার সাহায্যে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকেই এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। জোড়া পদক্ষেপে সামগ্রিক ভাবে কর সংগ্রহের প্রক্রিয়া আরও নিশ্ছিদ্র হবে বলে সরকারি মহলের দাবি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Income tax department Income Tax Return Scrutiny

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy