E-Paper

জিএসটিতে সংস্কারের বার্তা দিচ্ছে শিল্পমহল

গত বেশ কয়েক মাস ধরে জিএসটি ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার আশপাশে থাকছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি, কর প্রতারণা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপও এর অন্যতম কারণ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ০৬:০৬
An image of GST

—প্রতীকী চিত্র।

অতিমারি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি ফেরার পর থেকে ক্রমাগত বাড়ছে জিএসটি সংগ্রহ। গত বেশ কয়েক মাস ধরে তা ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার আশপাশে থাকছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি, কর প্রতারণা ঠেকানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপও এর অন্যতম কারণ। সরকারের এই সমস্ত যুক্তি মেনে নিয়েও উপদেষ্টা সংস্থা ডেলয়েটের এক সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি, জিএসটি প্রশাসনে এ বার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্কার চাইছে শিল্প ক্ষেত্র। শিল্পের বক্তব্য, জিএসটি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসার জন্য সরকার একটি এককালীন প্রকল্প চালু করুক। তাতে রাজকোষে অর্থ আসবে, বিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে আটকে থাকা পুঁজি হাতে পাবেন ব্যবসায়ীরাও।

২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি চালু হয়েছিল। উঠে গিয়েছিল অধিকাংশ পরোক্ষ কর। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার এই কর ব্যবস্থা রূপায়ণের কৃতিত্ব দাবি করলেও মনমোহন সিংহের জমানায় যে জিএসটির পরিকল্পনা করা হয়েছিল তার থেকে এই কাঠামো অনেক আলাদা। কংগ্রেসের দাবি, নোটবন্দির পরে জিএসটি দেশে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) কোমর ভেঙে দিয়েছে। চলতি ব্যবস্থায় করের কাঠামো আদৌ সরল নয়, বরং এর ধাপের সংখ্যা অনেক বেশি। হারও উঁচু। বস্তুত, চালু হওয়ার ছ’বছরের মধ্যে জিএসটি আইনের বহু সংশোধনীর জন্যও বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে।

ভোগ্যপণ্য, প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, টেলিকম, শক্তি, আর্থিক পরিষেবা, সরকারি পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৬১২ জন কর্তার সঙ্গে কথা বলে রিপোর্টটি তৈরি করেছে ডেলয়েট। সেখানে অবশ্য এমএসএমই-র ৮৮% প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জিএসটি চালুর ফলে করের খরচ কমেছে। মসৃণ হয়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা। তবে এর পাশাপাশি, ৮০% উত্তরদাতা মনে করেন, সহজে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি এবং বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রের বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জিএসটি ব্যবস্থায় আর এক দফা সংস্কারের সময় এসে গিয়েছে। মূল কারণ জিএসটি আইনের জটিলতা এবং পেশাদারদের সেই অনুযায়ী দ্রুত প্রশিক্ষিত করে তুলতে সমস্যা। যার ফলে তৈরি হচ্ছে বিবাদ এবং ‘অনিচ্ছাকৃত’ করফাঁকি। এই প্রসঙ্গেই এসেছে মীমাংসা প্রকল্পের প্রস্তাব।

ডেলয়েট ইন্ডিয়ার পার্টনার ও লিডার (পরোক্ষ কর) মহেশ জয়সিংয়ের দাবি, জিএসটি ব্যবস্থা যে পরিবর্তন এনেছে তা নিয়ে দেশের শিল্পমহল যথেষ্ট ইতিবাচক। জোগানশৃঙ্খলের উন্নতি হচ্ছে বলেও মনে করছে তারা। মহেশের কথায়, ‘‘বার্ষিক ২২% কর সংগ্রহ বৃদ্ধি সামগ্রিক আর্থিক উন্নয়নেরই প্রমাণ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

GST Tax Evasion GST Rate GST account

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy