গত ছ’বছরে পিএম কৃষি সম্মান নিধি যোজনার মাধ্যমে ১১ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার ‘কৃষি ও গ্রামের সমৃদ্ধি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সামনে বাজেটে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাবের সফল ও দ্রুত রূপায়ণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘এক জন কৃষকও যাতে পিছনে পড়ে না থাকেন। কারণ, কৃষি হল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির প্রথম চালিকাশক্তি। গ্রামের সমৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের উন্নতি ঘটাতে হবে।’’
এ দিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিভিন্ন পক্ষের পরামর্শ গ্রহণ করে বাজেট পেশ হয়ে গিয়েছে। এ বার সেই বাজেটকে সুচারু ভাবে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। কেন্দ্রের ‘বীজ থেকে বাজার’ নীতি কৃষি ক্ষেত্রের জোগানশৃঙ্খল শক্তিশালী করেছে। গত ১০ বছরে শস্য উৎপাদন ২৬.৫ কোটি টন থেকে পৌঁছে গিয়েছে ৩৩ কোটি টনে। তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি শস্যে আত্মনির্ভর হওয়া এখনও সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে কয়েকটি ডালে। ইতিমধ্যেই চালু থাকা প্রকল্পগুলিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে কৃষি ও কৃষকের আরও উন্নতি সম্ভব, সে ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের মতামত চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন অন্য এক অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত সারা বিশ্বের কাছে ব্যাক অফিস হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন এই দেশ বিশ্বের একটি নতুন কারখানা।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, কয়েক বছর আগে থেকে তিনি স্থানীয় পণ্যের উন্নয়ন (ভোকাল ফর লোকাল) এবং তাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরায় (লোকাল ফর গ্লোবাল) জোর দেওয়া শুরু করেছিলেন। সেই পরিকল্পনাই এখন বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)