ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শুল্কের রাজা’ তকমা দিয়ে বিঁধেছিলেন। এ বার ভারতকে ‘শুল্কের মহারাজ’ বলে তোপ দাগলেন তাঁর বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। দাবি করলেন, রাশিয়ার তেল কম দামে কিনে ‘অতিরিক্ত মুনাফা লুটছে’ নয়াদিল্লি। কী ভাবে মোদী সরকার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে, সে কথাও বলেছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আমেরিকাই ভারতকে মস্কোর তেল কিনে বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখার আর্জি জানিয়েছিল বলে সম্প্রতি করা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মন্তব্যের পাল্টা জবাব এটা। আমেরিকা বিরোধী ভারত-চিন অক্ষ কতটা টেকসই হবে সংশয় থাকলেও, দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করার গরজ চোখে পড়ছে। সেটাও ক্ষোভের কারণ হতে পারে। তার উপর আমেরিকা রাশিয়ার আমদানি বহাল রাখলেও তেল কেনায় ভারতকে কেন সব মিলিয়ে ৫০% শুল্ক বইতে হবে, সেই প্রশ্নও জোরালো হয়েছে।
আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে দেবে না কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, জাতীয় স্বার্থের উপরে নয় ওই চুক্তি।
তবে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা বন্ধ রাখলেও, নয়াদিল্লি কথা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই খবর। সূত্র জানাচ্ছে, ৯ অগস্ট থেকে আমেরিকার ১৬ জন কংগ্রেস সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রতিনিধি বিনয় মোহন কাটরা। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সম্পর্ক, জ্বালানি সুরক্ষা, হাইড্রোকার্বনে জোট, তেল-গ্যাস কেনা ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, আইন প্রণেতাদের মধ্যে যতই আলোচনা চলুক ট্রাম্প প্রশাসনের তির তীক্ষ্ণ হচ্ছে। এ দিন নাভারোর অভিযোগ, ভারতের শুল্ক এবং শুল্কের বাইরের পাঁচিলে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। তাতে ক্ষতি হচ্ছে সে দেশের কর্মী-ব্যবসায়ীদের। অথচ আমেরিকারই অর্থে রাশিয়ার তেল কিনে রফতানি করছে ভারত। লুটছে মুনাফা। আর তেল বিক্রির অর্থে মস্কো অস্ত্র কিনছে এবং ইউক্রেনীয়দের হত্যা করছে। স্বীকার না করলেও এই হত্যালীলায় হাত রয়েছে ভারতের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)