জিএসটি ব্যবস্থায় বিবাদ মেটানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে নিরপেক্ষ ট্রাইবুনাল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রাজ্যে গঠিত হচ্ছেতার বেঞ্চ। ১ ডিসেম্বর থেকে তা চালু হবে পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যের জিএসটি আপিল ট্রাইবুনালটি সে দিন থেকেই পুরোপুরি কাজ শুরু করবে বলে জানান কলকাতা অঞ্চলের কেন্দ্রীয় জিএসটির মুখ্য কমিশনার শ্রাবণ কুমার। সরকারের সঙ্গে কর নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরোধের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ আপিলআদালত হিসাবে কাজ করবে সেটি।
শুক্রবার কলকাতায় জিএসটি নিয়ে বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বারের এক সভায় কুমার জানান, ট্রাইবুনালের কলকাতা বেঞ্চের বিচারক এবং সদস্য নিয়োগ হয়েছে। ডিসেম্বর থেকে তাঁরা আপিল মামলা গ্রহণ শুরু করবেন।
জিএসটি কর্তাদের দাবি, ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’ হল নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিচারক বা সদস্য, সকলেই হবেন কর বিভাগের বাইরের লোক। সরকারের সঙ্গে কোনও ব্যবসায়ীর কর সংক্রান্ত বিরোধ বাঁধলে জিএসটি আইন অনুযায়ী এত দিন প্রথমে বিভাগীয় আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হত। সেখানকার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে গন্তব্য ছিল আদালত। পরিবর্তিত নিয়মে আদালতে যাওয়ার আগে ট্রাইবুনালে বিভাগীয় আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন ব্যবসায়ী। সেখানে নিরপেক্ষ বিচার হবে বলেই দাবি। তবে ট্রাইবুনালের রায়েও সন্তুষ্ট না হলে যাওয়া যাবে আদালতে।
কলকাতায় আপিল ট্রাইবুনালের দু’টি বেঞ্চ কাজ করবে। একটি রাজ্যেরমামলা শুনবে। অন্যটি সিকিমের পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মামলা। ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিডব্লিউবিটিএ-র সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে। হালকা হবে আদালতে মামলার সংখ্যাও। আমাদের বিশ্বাস, আপিল ট্রাইবুনাল অভিযোগের নিরপেক্ষ বিচার করবে।’’
জিএসটিতে আর্জি
জিএসটির চূড়ান্ত আপিল আদালত ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’।
কর সংক্রান্ত বিবাদের বিচার হয়।
আগে বিবাদ মেটাতে কর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আপিল বিভাগে যেতেন ব্যবসায়ীরা, রায়ে সন্তুষ্ট না হলে আদালতে।
এ বার আদালতে যাওয়ার আগে আরও একবার নিরপেক্ষ ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালে’ আবেদনের সুযোগ পাবেন তাঁরা।
দিল্লিতে হয়েছে ‘প্রিন্সিপাল ট্রাইবুনাল’, বিভিন্ন রাজ্যে তার ৩১টি বেঞ্চ।
আশা, এতে আদালতে মামলার সংখ্যা কমবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)