বিক্রি না-হওয়া আই ফোন ৬ এবং ৬ প্লাসের সংখ্যা বাড়ছে। আর তাই জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসে যত দিন না সেগুলি বিক্রি হয়, ফোন দু’টির উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর পথে হাঁটতে পারে অ্যাপল।
গত সেপ্টেম্বরেই বাজারে আই ফোনের নতুন মডেল দু’টি আনার কথা ঘোষণা করেছিল মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি। প্রথম দিকে ভাল বিক্রি হলেও, পরবর্তী সময়ে সেগুলির চাহিদা কিছুটা কমেছে। যার জেরে পাল্লা দিয়ে বিক্রেতার ঘরে ক্রমশ বেড়েছে বিক্রি না-হওয়া ফোনের সংখ্যা। সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত অ্যাপল উৎপাদন কমানোর কথা ভাবছে বলেই ইঙ্গিত সংশ্লিষ্ট সূত্রে।
অ্যাপল সরাসরি নিজে থেকে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না-হলেও, আই ফোনের যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং সেগুলির নির্মাতা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, বিক্রি যে কমছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সাধারণ ভাবে ছুটির মরসুমে আই ফোন তৈরির জন্য কর্মীদের বাড়তি ভাতা দেয় বিভিন্ন প্রস্তুতকারক সংস্থা। কিন্তু এ বার তারা সে পথে হাঁটেনি। পাশাপাশি, চিনের ঝেনঝউ প্রদেশের সরকারও ফক্সকনের মতো আই ফোন নির্মাতাকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এ সবই চাহিদা কমার লক্ষণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকের মতে, উৎপাদন কমানোর কথা ছিল আগেই, কিন্তু তা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনাই চিন্তায় ফেলেছে লগ্নিকারীদের। শুধুমাত্র অ্যাপলই নয়, এই খবরে সম্প্রতি এলজি, ফক্সকন, জাপানের ডিসপ্লে, মুরাতা ম্যানুফ্যাকচারিং-এর মতো সংস্থাগুলির শেয়ার দরও পড়েছে অনেকটাই। এমনকী চলতি ২০১৬ অর্থবর্ষে (সংস্থা অক্টোবর-সেপ্টেম্বর আর্থিক বছর মেনে চলে) অ্যাপলের আয় মাত্র ৪ শতাংশ বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা। গত অর্থবর্ষে যা ছিল ২৮ শতাংশ।
আবার অনেক বিশেষজ্ঞ অবশ্য এখনই অতটা হতাশ হতে নারাজ। তাঁদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বাজার দখল বাড়ছে অ্যাপলের। ফলে সব মিলিয়ে বিক্রির সরাসরি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে অ্যাপল স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে বলেও তাঁদের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy