E-Paper

অর্থবর্ষ জুড়ে লগ্নিকারীদের ঘরে ১২৯ লক্ষ কোটি টাকা

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, লোকসানের ঝুঁকি সর্বাধিক জেনেও শেয়ার বাজারে নতুন করে নাম লিখিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। অনেকে লাভের খোঁজে তুলনায় অপরিচিত ছোট-মাঝারি সংস্থায় পুঁজি ঢেলে আরও বেশি ঝুঁকি নিতেও পিছপা হননি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৪:৪১

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অনিশ্চয়তায় জর্জরিত ছিল বিশ্ব অর্থনীতি। ঘরের মাঠেও মূল্যবৃদ্ধি, চড়া সুদ বা চাহিদার অভাব অস্থির রাখে লগ্নিকারীদের। তবু শেষের মুখে দাঁড়ানো চলতি আর্থিক বছরে সেনসেক্স বেড়েছে ১৪,৬৫৯.৮৩ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার, অর্থবর্ষের শেষ লেনদেনে থিতু হয়েছে ৭৩,৬৫১.৩৫ অঙ্কে। আর এই এক বছরে ভারতের শেয়ার বাজার থেকে লগ্নিকারীরা সিন্দুকে তুলেছেন ১২৮.৭৭ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। নিফ্‌টি মোট ৪৯৬৭.১৫ উঠে বছর শেষ করেছে ২২,৩২৬.৯০-তে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী অর্থবর্ষও (২০২৪-২৫) ভাল কাটার আশা। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করছে মূল্যবৃদ্ধি ও সুদের হারের মাথা নামানোর উপর। লগ্নিকারীদের নজর আসন্ন লোকসভা ভোটেও।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, লোকসানের ঝুঁকি সর্বাধিক জেনেও শেয়ার বাজারে নতুন করে নাম লিখিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। অনেকে লাভের খোঁজে তুলনায় অপরিচিত ছোট-মাঝারি সংস্থায় পুঁজি ঢেলে আরও বেশি ঝুঁকি নিতেও পিছপা হননি। কেউ কেউ আবার সরাসরি শেয়ার না কিনে, শেয়ার ভিত্তিক ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সূচক উঠেছে বহু বাধা-বিপত্তিকে পাশ কাটিয়ে। সেই তালিকায় রয়েছে চড়া মূল্যবৃদ্ধি, তাকে যুঝতে চড়ে যাওয়া সুদ। ফলে বর্ধিত ঋণের খরচ এখনও মাথাব্যথা খুচরো ঋণগ্রহীতা এবং শিল্পের। যে কারণে সংস্থাগুলি ব্যবসা সম্প্রসারণ বা কর্মী নিয়োগের আগে বহু বার ভাবছে। ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা, মূল্যবৃদ্ধি, চড়া সুদে বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ছিল আরও করুণ। আমেরিকা বা ইউরোপ কার্যত পৌঁছে গিয়েছিল মন্দার মুখে। কিছু দেশ মন্দাতে ঢুকেও পড়ে। তবে এত ঝড় সয়েও ভারতের শেয়ার বাজার নজির গড়তে গড়তে এগিয়েছে। এ মাসের ৭ তারিখে ৭৪,১১৯.৩৯-এ থেমে সেনসেক্স সর্বকালীন উচ্চতা ছুঁয়েছে। রেকর্ড গড়ে নিফ্‌টি হয় ২২,৪৯৩.৫৫।

বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, “বাজার তেজী থাকার ক্ষেত্রে খুচরো সাধারণ লগ্নিকারীদের বিনিয়োগেরও বড় ভূমিকা ছিল। তাঁদের একাংশ ফান্ড কিনেছেন। এসআইপি করেছেন। এমনকি বিশ্ব জোড়া রাজনৈতিক বা আর্থিক সমস্যার মধ্যে দাঁড়িয়েও ওই সাধারণ লগ্নিকারী বাজার ছাড়েননি।’’ তাঁর দাবি, ভারতের শেয়ার বাজার যে আগের থেকে অনেক বেশি পরিণত হয়েছে, এটা তার প্রমাণ।

বাজার মহল মনে করাচ্ছে, এই অর্থবর্ষে শেয়ার দর বেড়েছে মূলত ফান্ড-সহ দেশীয় লগ্নিকারী সংস্থাগুলির হাত ধরে। তারা নিট হিসাবে ১,৫০,৪০৫.১৩ কোটি টাকা ঢেলেছে। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বরং ভারতে নিট হিসাবে ১৪,৩৯৩.৬৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার, তাদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সংস্কার এবং ভারতের আর্থিক অগ্রগতি বাজার চাঙ্গা হওয়ার প্রধান কারণ, মনে করেন ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়াল। আগামী বছর ভাল কাটবে বলেও আশা তাঁদের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Share Market Sensex Stock Market Financial Year

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy