E-Paper

আশা পূরণ করল না পুজোর বিদ্যুৎ

সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, মূলত এলইডি আলো ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের খরচ কম হচ্ছে। তাই চাহিদা কমেছে। তবে অন্য এক অংশের দাবি, সামগ্রিক ভাবে এ বছরের পুজোয় জাঁকজমক কমেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২২

—প্রতীকী চিত্র।

পুজোর বাজার গত বারের তুলনায় অনেকটা ঝিমিয়ে বলে দাবি করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। পরিসংখ্যানে উঠে এল, চলতি বছরের পুজোর দিনগুলিতে বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদাও আশানুরূপ বাড়েনি। রাজ্য সরকারের দাবি ছিল, তা কমপক্ষে ১০% বাড়বে। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, পুজোয় দিনে সর্বাধিক চাহিদা ১০,০০০ মেগাওয়াট ছাপিয়ে যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে চাহিদা থমকে গিয়েছে ৯৮৩৫ মেগাওয়াটেই।

সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, মূলত এলইডি আলো ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের খরচ কম হচ্ছে। তাই চাহিদা কমেছে। তবে অন্য এক অংশের দাবি, সামগ্রিক ভাবে এ বছরের পুজোয় জাঁকজমক কমেছে। বহু জায়গায় আলোর রোশনাই ছিল গত কয়েক বছরের তুলনায় কম। তারই সম্মিলিত ফল বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদার আশা পূরণ না করা।

২০২৩ সালে মোট ৪৭,২৭৫টি পুজো বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। এ বছর ৪৯,০০০-এর বেশি হবে বলে জানিয়েছিল সরকার। তার পরেও বিদ্যুতের চাহিদা কেন সে ভাবে বাড়েনি, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরেই। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম এবং সিইএসসি-র পক্ষ থেকে যে যৌথ হিসেব দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এ বার সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা ছিল চতুর্থীতে। দুই সংস্থা মিলে সর্বাধিক চাহিদা ছোঁয় ৯৮৩৫ মেগাওয়াট। গত বছর ছিল ৯২৫২ মেগাওয়াট। পঞ্চমীর চাহিদা ৯২৯৫ মেগাওয়াট, গত বার ছিল প্রায় ৯০০০ মেগাওয়াট। ষষ্ঠীতে এ বছর ছিল ৯০৪৪ মেগাওয়াট। সপ্তমী থেকে সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা বরাবর কমে যায়। কারণ অফিস-কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর তা হয়েছে যথাক্রমে ৮৬৩৫, ৮৭২৯ এবং ৮৪৫৬ মেগাওয়াট।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

electricity Durga Puja 2024

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy