বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। প্রতীকী ছবি।
করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ মেয়াদে আর্থিক বৃদ্ধির গতি নিশ্চিত করতে অর্থনীতিতে তীক্ষ্ণ নজরদারি এবং সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়াই পথ বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রক। শনিবার মাসিক রিপোর্টে তাদের সতর্কবার্তা, শীতের আগে উন্নত দেশগুলি নিজেদের তেল-গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করায় জোর দেবে। যা ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে। ফলে সন্তুষ্ট হয়ে বসে থাকলে চলবে না। পাশাপাশি কেন্দ্রের মতে, চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে দেশে খরিফ মরসুমে কম শস্য উৎপাদন স্বস্তির নয়। তা মোকাবিলায় দক্ষ হাতে শস্য ভান্ডার গড়ে তোলায় জোর দিতে হবে।
ক্রমাগত সুদ বৃদ্ধি এবং চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে বৃদ্ধির গতি ধাক্কা খেতে পারে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল। মূল্যায়ন সংস্থাগুলি পূর্বাভাস ছাঁটাই করছে। রিপোর্টে যদিও বৃদ্ধির জন্য আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ঋণনীতিতে ঠিক মতো পদক্ষেপের কথা বলেছে অর্থ মন্ত্রক। জানিয়েছে, এতে সরকার এবং বেসরকারি শিল্পের ঋণের খরচ কমতে পারে। ফলে লগ্নিতে আগ্রহ বাড়ার সম্ভাবনা।
তবে এর মধ্যেও সরকারের চিন্তা বাড়িয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। বিশেষত, এ বছরে কম এবং অনিয়মিত বর্ষায় খরিফ মরসুমে ফলন ঠিক মতো হয়নি। ইতিমধ্যে অগস্টে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ফের পৌঁছেছে ৭ শতাংশে। পাইকারি বাজারে তা ১২ শতাংশের উপরে। তবে কেন্দ্রের ধারণা, বিশ্ব বাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমা, সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি, সরকারের নানা পদক্ষেপ এবং ঋণনীতিতে নেওয়া ব্যবস্থার হাত ধরে আগামী দিনে দেশে পণ্যের দাম নামবে। কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শস্য ভান্ডার গড়ায় জোর দিতে হবে এখনই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy