বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম নেমে গিয়েছে ব্যারেল পিছু ৬০ ডলারে। তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এতটা সস্তা হয়নি ব্রেন্ট ক্রুড। আর এক অশোধিত তেল ডব্লিউটিআই-ও বহু দিন পরে ৫৭ ডলারের কাছে। ফলে ভারতের তেল আমদানির খরচ বেশ কিছুটা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে ফের বিমান জ্বালানি এটিএফের দাম কমাল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। এই নিয়ে টানা দু’বার।
গত ১ এপ্রিল এটিএফের দাম কমেছিল কিলোলিটার পিছু ৬.১৫%। মে মাসে কমল ৪.৪%। কলকাতায় দাম দাঁড়াল ৮৮,২৩৭.০৫ টাকা। মে মাসে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামও কমিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। আর এ ক্ষেত্রেও দাম কমানো হয়েছে টানা দু’বার। কলকাতায় তা হয়েছে ১৮৫১.৫০ টাকা। গত মাসে কমেছিল ৬ শতাংশের বেশি। এ মাসে কমল ৪.৪%। হোটেল-রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের বাণিজ্যিক সিলিন্ডার পর পর দু’মাসে কমল। ব্রাত্য শুধু পেট্রল-ডিজ়েল। দাম কমানোর বদলে সম্প্রতি এই দুই পরিবহণ জ্বালানিতে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সুবিধা নিচ্ছে কেন্দ্র। দাম কমেনি গৃহস্থের রান্নার গ্যাসেরও। গত মাসে তারও দাম ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বাড়লে দেশে তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ তা কমার সুবিধা চট করে দেশবাসীর ঘরে পৌঁছয় না। যে কারণে বিশ্ব বাজারে দাম এত নামার পরেও ভারতের বহু জায়গায় পেট্রলের লিটার ১০০ টাকার বেশি।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আন্তর্জাতিক অস্থিরতার কারণে অশোধিত তেলের পাশাপাশি ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও কমেছে। সব মিলিয়ে তেল আমদানির খরচ কমেছে এখানে। এই কারণে গোটা দেশ যখন তেলের দাম কমার আশায় দিন গুনছিল, তখনই (গত ৮ এপ্রিল) পেট্রল ও ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক লিটার প্রতি ২ টাকা করে বাড়িয়ে দেয় মোদী সরকার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)