রাজ্যের ছোট চা বাগানগুলি চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে রয়েছে বলে দাবি করল তাদের সংগঠন সিস্টা। তাদের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে চায়ের উৎপাদন খরচও তুলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় পাট এবং বিভিন্ন খাদ্যশস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ধাঁচে ছোট বাগানগুলির জন্যও প্রকল্প চালু করুক কেন্দ্র। তা চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত দেওয়া হোক বিশেষ সুরক্ষা প্রকল্প।
সিস্টা-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছোট চা বাগানগুলি আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে। অথচ রাজ্যে বছরে যে ৪৩ কোটি কেজি চা তৈরি হয়, তার ৬৪ শতাংশের পাতাই আসে তাদের থেকে। তাই সেগুলি যাতে বন্ধ না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে চিঠি দিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছি। ছোট বাগানগুলিকে যাতে উৎপাদন খরচের থেকে কম দামে কারখানাগুলিকে পাতা বিক্রি করতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রকল্প চালু করুক কেন্দ্র। যত দিন তা সম্ভব না হচ্ছে, তত দিন ছোট চা বাগানগুলির জন্য বিশেষ সুরক্ষা প্রকল্প চালু করা হোক।’’
বিজয়গোপালের ব্যাখ্যা, প্রত্যেক বছর জুলাই থেকে অক্টোবরে চা পাতার উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। ওই সময়েই তার দাম তলানিতে চলে যায়। কারখানাগুলিকে চা পাতা বিক্রি করে উৎপাদন খরচও তুলতে পারে না ছোট বাগান। তা ছাড়া আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্যেও উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তিনি বলেন, “উৎপাদন খরচ এবং বিক্রির দামের ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে আপাতত পাঁচ বছরের জন্য একটি বিশেষ সুরক্ষা তহবিল চালু করুক কেন্দ্র।’’
তাঁর আরও অভিযোগ, বাগানগুলি যে চা উৎপাদন করে তার ৯০ শতাংশই কারখানায় যায় দালালের মাধ্যমে। এই ব্যবস্থা এড়াতে চাষিরা স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে সরাসরি কারখানায় সরবরাহের ব্যবস্থা চালু করেছেন। চা পর্ষদও গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করছে। কিন্তু লোকসানের কারণে বেশ কিছু গোষ্ঠী বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওই বিশেষ সুরক্ষা প্রকল্প অবিলম্বে চালু করা জরুরি বলে মনে করছেন ছোট বাগানগুলির মালিকেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)