প্রতীকী ছবি।
প্রত্যাশা পূরণ হল না। চাহিদাহানির ক্ষত সারা দূর অস্ত্, বিক্রেতারা দাবি করলেন, ১০ বছরে এমন খারাপ উৎসবের মরসুম কাটায়নি দেশের গাড়ি শিল্প। অতিমারির তৃতীয় ঢেউ এখনও না-আসা সত্ত্বেও ব্যবসা ঝিমিয়ে।
উৎসবের মরসুমে গাড়ি বিক্রি কতটা বাড়বে, কত দ্রুত ছন্দে ফিরবে নির্মাতা ও বিক্রেতা সংস্থাগুলি— এ সব নিয়ে জোর চর্চা চলছে বাজারে। কিন্তু শিল্পের অন্দরে কিছু বিক্ষিপ্ত উদাহরণ বাদ দিলে আশার পারদ নিম্নমুখী। ডিলার সংস্থাগুলির (যারা শো-রুম থেকে গাড়ি বিক্রি করে) সংগঠন ফাডা-র প্রেসিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটি বলেন, ‘‘এক দশকে সব থেকে খারাপ উৎসবের মরসুম দেখছে গাড়ি শিল্প। চিপের জোগানে ঘাটতি যাত্রিবাহী গাড়ির জোগানেও বিপুল সঙ্কট তৈরি করছে। এসইউভি (স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল), ছোট এসইউভি এবং দামি গাড়ির বিক্রি ধাক্কা খাচ্ছে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অর্থনীতির ঝিমুনির পরে করোনা চাহিদা কেড়েছিল। তাতে কোপ বসিয়েছে তেলের চড়া দর। এ বার সেমিকনডাক্টর চিপের মতো যন্ত্রাংশের ঘাটতিতে ধনতেরসে গত বছরের থেকেও কম ব্যবসা করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকি। টাটা মোটরসের অবশ্য দাবি, তাদের ক্ষেত্রে ছবিটা উল্টো।
গাড়ি শিল্পের দাবি
ভারত মূলত ছোট এবং কম দামি গাড়ির বাজার। হালে এসইউভি-র চাহিদা বাড়ছে। ভিঙ্কেশের মতে, কম দামি ছোট যাত্রিবাহী গাড়ির চাহিদা কম, কারণ তার ক্রেতারা এখন ভবিষ্যতে চিকিৎসার জন্য অর্থ জমানোয় জোর দিচ্ছেন। একই কারণে ঝিমিয়ে কম দামি দু’চাকার ব্যবসা। আর একটি কারণ,অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ এবং জ্বালানির চড়া দরে গ্রামীণ এলাকাগুলির কাহিল হওয়া, যা দু’চাকার বড় বাজার।
নবরাত্রির পরে ধনতেরস এবং দীপাবলিতেও গাড়ি কেনার প্রথা রয়েছে দেশে। মারুতি-সুজুকি-র কর্তা শশাঙ্ক শ্রীবাস্তবের দাবি, ক্রেতারা কিনতে চাইছেন। কিন্তু যন্ত্রাংশ ও গাড়ির জোগানের অভাবে ধনতেরসে ১৩ হাজার গাড়ি বিক্রি হয়েছে। গত বারের থেকেও কম। তবে টাটা মোটরসের প্রেসিডেন্ট শৈলেশ চন্দ্র জানান, ওই দিন তাঁদের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৯৪%। সৌজন্যে, নতুন মডেল এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy