E-Paper

পরীক্ষা নেওয়া থেকে নিয়মিত ফলাফল প্রকাশ, ঢেলে সাজছে ব্যাঙ্কের নিয়োগ ব্যবস্থা

ব্যাঙ্ক কর্মী এবং অফিসারদের সংগঠনগুলির অভিযোগ, প্রয়োজনীয় কর্মী এবং অফিসারের অভাবে বহু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:১১

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কর্মী-অফিসার নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া এবং তার ফলাফল নিয়মিত সঠিক ভাবে প্রকাশ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। স্টেট ব্যাঙ্ক এবং সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পাশাপাশি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের (আরআরবি) ক্ষেত্রেও নতুন ব্যবস্থাগুলি কার্যকর হবে, বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রকের অধীন আর্থিক পরিষেবা বিভাগ।

এই সব ব্যাঙ্কে নিয়োগের পরীক্ষা পরিচালনা করে ‘ইনস্টিটিউট অব ব্যাঙ্কিং পার্সোনেল সিলেকশন’ (আইবিপিএস)। কত জন নতুন কর্মী-অফিসার লাগবে, তা জানায় ব্যাঙ্কগুলি। সেই অনুযায়ী আইবিপিএস পরীক্ষা নেয়। কেন্দ্রের দাবি, পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও সুশৃঙ্খল করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানোই উদ্দেশ্য।

প্রথাগত ভাবে আরআরবি-তে নিয়োগের পরীক্ষা সবার আগে হয়। তার পরে হয় স্টেট ব্যাঙ্ক এবং বাকি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির। কেন্দ্রীয় আর্থিক পরিষেবা বিভাগের দাবি, দেখা গিয়েছে আরআরবি-র চাকরিতে যাঁরা যোগ দেন, পরে তাঁরা তা ছেড়ে এসবিআই কিংবা অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে চলে যান। এর ফলে ব্যাঙ্ক শিল্পে চাকরি ছাড়ার বহর বাড়ে। সমস্যা হয় সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও। এই প্রবণতা রুখতেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছু বদল এনেছে বলে দাবি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সংগঠন আইবিএ-কে সেগুলি কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

এ দিকে ব্যাঙ্ক কর্মী এবং অফিসারদের সংগঠনগুলির অভিযোগ, প্রয়োজনীয় কর্মী এবং অফিসারের অভাবে বহু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গ্রাহক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। কর্মী ইউনিয়ন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কে বহু দিন নিয়োগ বন্ধ ছিল। তার পরে তা চালু হলেও প্রয়োজনের তুলনায় চাকরি পাওয়ার হার অনেক কম। দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রায় ৭০ হাজার শাখায় চতুর্থ শ্রেণির কোনও কর্মী নেই। আমরা হিসাব করে দেখেছি শাখাগুলিতে করণিক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ধরলে মোট আড়াই লক্ষ লোক নিতে হবে।’’ অফিসারদের সংগঠন আইবক-এর রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ নিজেরাই অফিসার নিয়োগের যে পরিকল্পনা করেছেন, সেই অনুযায়ী শাখাগুলিতে নেওয়া হবে ৫-১০ শতাংশ কর্মী। কিন্তু আমরা খতিয়ে দেখেছি ওই পরিকল্পনায় গলদ আছে। গ্রাহক পরিষেবার মান বাড়াতে প্রায় ১৫-২০ শতাংশ নিয়োগ করা জরুরি। না হলে নতুন ব্যবস্থা এনেও কোনও লাভ হবে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Banking Sector Recruitment

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy